অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকির স্যারের কথা কি আমরা ভুলে গেছি? নিশ্চয়ই ভাবছেন কার কথা বলছি।আমি বলছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকের কথা। পত্রিকায় দেখেছিলাম স্যার সেতার বাজাতেন, সাহিত্য সাময়িকী বের করতেন, লেখালেখি করতেন। কি লিখতেন? স্যারের লেখায় থাকতো মানবতার কথা, সত্যের কথা, প্রকাশ করতেন নিজের ব্যক্তিগত মতামত। গনতান্তিক দেশে মতামত প্রকাশ করাতো যে কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার।
একজন মানুষ গড়ার কারীগরকে কুপিয়ে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে কিছুদিন আগেই। আর দশটা হত্যাকান্ডের মত এটা ও ধামাচাপা পড়ে যাবে। খুনের কারন কি, কে বা কারা জড়িত এটা খুঁজে বের করা পুলিশের কাজ আর ন্যায়বিচারের দায়িত্ত বিচারবিভাগের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলেছিলেন যে, উনারা সকল রহস্যই উদ্ঘাটন করবেন। প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করবেন এবং সকল হত্যকান্ডের বিচার করবেন।এটাও নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু সকল হত্যকান্ডই তো আবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা নিয়ে এত চিৎকার করার কি আছে? আর কিছুদিন গেলেই নতুন ঘটনা ঘটবে, ধামাচাপা পরবে এটাও। ধামাচাপা পড়বে কারন একটা মৃত্যুতো আর নতুন কিছু না। কয়টা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হয়েছে, কয়জন অপরাধি ধরা পরেছে, কয়টা খুনের সঠিক বিচার হয়েছে?
সরকার বলবে যে এটা বিরোধী দলের কাজ , বিরোধী দল বলবে সরকাররে কাজসাজি। কেও বলবে মৌলবাদীদের কাজ। কিছুদিন এই নাটকের পর শুরু হবে দায়সারা তদন্ত, হাজির হবে কথিত অপরাধি।কালক্ষেপনের জন্য চলবে বিচার বিভাগের নাটকীয়তা। কিত্তু ফলাফল কি?
কেও প্রতিবাদ করবে না। প্রতবাদ করতে চাইলেও তা সম্ভব না। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা শেষ প্রতিবাদ করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধে কিংবা ৯০ই সালে। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু ৯০ দেখেছি। এই প্রতিবাদ হবে অহিংস প্রতিবাদ।মানবতা রক্ষার জন্য আমি আবার ৯০ দেখতে চাই। মানবতার পক্ষে এ আমার শক্ত অবস্থান।
স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।এটা অবশ্যম্ভাবী কিন্তু অপমৃত্যু নিয়ে আমার অনেক কিছু বলার আছে।