‘এদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলা হবে’

সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৪-১২-১১ ১৪:২৬:০০


এদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলা হবে। ভারতের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা লংমার্চ করছি। ভারত নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দাবি করে; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণ-আন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা, তার সকল দোসরদের আশ্রয় দিয়েছে। আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই, এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ না। এই বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার, খালেদার জিয়ার, তারেক রহমানের বাংলাদেশ। এদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ উপরে ফেলা হবে।

বুধবার ভৈরব মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চে ভৈরবে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ লংমার্চ করছে।

ভারতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে জিলানী বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু না। বিশেষ করে সেখানে শেখ হাসিনা থাকে, বাংলাদেশের শত্রু থাকে সেই ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পাশাপাশি রাষ্ট্র। আমরা বলেছি, ভারত বন্ধু রাষ্ট্র কিন্তু সেখানে আমাদের হাইকমিশনে হামলা হয়েছে, পতাকা পুড়িয়েছে। সীমান্তে আমাদের দেশের নাগরিকদের গুলি করে মারছে, ফেলানিকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুঁলিয়ে রাখে। এটা কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না।

তিনি বলেন, ভারত একটি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র। ভারতের আর্শীবাদে এদেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিতি হয়েছিল। এখন হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিন সকাল ৯টায় রাজধানীর নায়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এনজে