যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে জেলে ঢোকানোর প্রতিশ্রুতি থেকে সরে দাঁড়ালেন।
তিনি বলেছেন, এ ধরনের কোনো ইচ্ছা তার নেই। ই-মেইল ইস্যুতে হিলারির বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তও শুরু করা হবে না। ক্লিনটন পরিবারকে বিপাকে ফেলার ইচ্ছা নেই তার।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বারবার বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্লিনটন পরিবারের ফাউন্ডেশনের অর্থ নিয়ে তদন্ত করবেন। এখন বলছেন, তিনি তা করবেন না।
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব বিষয়ে তার নতুন অবস্থান তুলে ধরেন। ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন পত্রিকাটির শীর্ষ প্রতিবেদক ও সম্পাদকরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক টাইমসের বৈঠক হঠাৎ বাতিল হয়। কিন্তু এর তিন ঘণ্টা পর ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেয় পত্রিকাটি।
নির্বাচনী প্রচারে হিলারিকে ‘কুটিল হিলারি’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে ই-মেইল আদান-প্রদান করার ইস্যুতে হিলারিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে অভিহিত করেন তিনি। নির্বাচনে জয়ের পর তিনি এখন আর হিলারিকে আঘাত দিতে চান না।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হিলারিকে আঘাত দিতে চাই না, সত্যিই চাই না।’ তিনি আরো বলেন, ‘অনেক ঝঞ্ঝার মধ্যে দিয়ে এবং অনেকভাবে বড় বড় সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। আমি তাদের আর কষ্ট দিতে চাই না। নির্বাচনী প্রচার ছিল কলুষিত।’
হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ই-মেইল ইস্যুকে পুঁজি করে প্রচার চালান ট্রাম্প ও তার প্রচারশিবির। এফবিআই তাকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও অবশেষে হিলারি তার পরাজয়ের কারণ হিসেবে এ ইস্যুকেই দায়ী করেন। নির্বাচনের ১১ দিন আগে এফবিআই প্রধান জেমস কোমি হিলারির ই-মেইল ইস্যু নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর তার জনপ্রিয়তায় ধস নামে। নির্বাচনের দুই দিন আগে এফবিআই হিলারিকে আবারও নির্দোষ ঘোষণা করে। কিন্তু তত সময়ে নির্বাচনী মাঠ হাতছাড়া হয়ে যায় হিলারির। সামগ্রিকভাবে বেশি ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল ভোটে হারার কারণে পরাজিত হতে হয় তাকে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস