এফবিআই ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন অ্যাড্রিয়ান স্মিথ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-১২-১৬ ২০:২৭:৫৭
এফবিআই ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেনন অ্যাড্রিয়ান উড স্মিথ। তার ইসলাম গ্রহণের যাত্রা শুরু হয় শৈশবের ধর্মীয় আগ্রহ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘এফবিআই’-তে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন থেকে। খ্রিস্টান পরিবারে বেড়ে ওঠা স্মিথ ছিলেন গির্জার একজন সক্রিয় সদস্য। কিশোর বয়সেই উপদেশমূলক বক্তব্য দিতে শুরু করেছিলেন তিনি।
তবে সময়ের সাথে সাথে তিনি খ্রিস্টান ধর্মের কিছু রীতিনীতির পরিবর্তন সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়েন। স্কুলজীবনে এফবিআই-তে কাজ করার স্বপ্ন পূরণে তাকে আরবি ও পারস্য ভাষা শেখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যেই তিনি ডার্টমাউথ কলেজে আরবি ভাষায় পড়াশোনা শুরু করেন।
এই ভাষা শেখার মাধ্যমে তিনি ইসলামি সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হন এবং প্রথমবার আজান শুনে গভীরভাবে প্রভাবিত হন। ইসলাম সম্পর্কে তার অনুসন্ধান শুরু হয়, খ্রিস্টান বিশ্বাসকে আরও মজবুত করার প্রয়াসে, কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি উপলব্ধি করেন যে ইসলামেই তার কাঙ্ক্ষিত আত্মিক পরিপূর্ণতা রয়েছে।
খ্রিস্টান হয়েও তিনি ইসলামিক রীতিনীতি, বিশেষ করে নামাজ আদায় শুরু করেন। মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে (এমএসএ) প্রথমবারের মতো যোগ দেয়ার পর ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে তার চিন্তা-চেতনার মিল খুঁজে পান। মাত্র দুই মাসের মধ্যেই তিনি শাহাদাহ (ঈমানের ঘোষণা) পাঠ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করে আদনান নাম হিসেবে পরিচয় দেন।
যদিও তার ধর্মান্তর তার পরিবারকে প্রাথমিকভাবে উদ্বিগ্ন করেছিল, বিশেষ করে তার মা, আদনান তার বিশ্বাসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি এফবিআই-তে দুটি ইন্টার্নশিপও সম্পন্ন করেন, টপ সিক্রেট ক্লিয়ারেন্স পান। গোয়েন্দা বিশ্লেষক হিসেবে একটি চাকরির প্রস্তাবও পান। তার লক্ষ্য ছিল বিশেষ এজেন্ট হওয়া।
কিন্তু ইসলামের বিশ্বাস বা আদর্শের সঙ্গে তার কর্মজীবনের নৈতিক দ্বন্দ্ব তাকে ভাবিয়ে তোলে। তিনি বুঝতে পারেন যে, এফবিআই-এর কাজ অনেক সময় মানুষের ওপর অত্যাচারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা ইসলামের ন্যায়বিচার ও মানবতার নীতির সাথে সাংঘর্ষিক।
এই উপলব্ধি থেকে আলেমদের পরামর্শে তিনি এফবিআই ছেড়ে মানুষের সেবা করার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন এবং তার জীবন ও কর্মের মাধ্যমে ইসলামের সুমহান আদর্শে ঈমানের অনন্য যাত্রায় অন্যদের অনুপ্রাণিত করছেন।
বিএইচ