স্বল্প আয়ের মানুষের ব্যাংক হিসাবে কমেছে আমানত
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-১২-২৬ ১৮:৩২:৩৬
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সুবিধা দিতে ১০,৫০ ও ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছিল সরকার। এগুলোকে নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্ট (এনএফএ) বলা হয়। তবে, স্কুল ব্যাংকিং ও কর্মজীবী শিশুদের অ্যাকাউন্ট এই হিসাবের বাইরে। এই নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বা সার্ভিস চার্জ/ফি নেই। সমাজের সব স্তরের মানুষের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের আওতায় এসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
এছাড়া, সাধারণ চলমান সঞ্চয় হারের তুলনায় নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টগুলোতে বেশি হারে সুদ দেওয়া হয়। এই ব্যাংকিং সুবিধাভোগীর মধ্যে আছেন- কৃষক, পোশাক শ্রমিক, অতি দরিদ্র, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরাসহ অনেকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে এসব স্বল্প আয়ের মানুষের হিসাব সংখ্যা বাড়লেও জুনের তুলনায় আমানত কমেছে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন শেষে ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা দিয়ে খোলা স্বল্প আয়ের মানুষের ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৮২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা দিয়ে খোলা হিসাবে আমানত ৪৩৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের জুন শেষে ব্যাংকগুলোতে নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৮টি। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে স্বল্প আয়ের মানুষের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৭১ হাজার ৮৭৮টি। সেই হিসাবে তিন মাসে অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বেড়েছে ৯৪ হাজার ৪৩০টি বা শূন্য দশমিক শূন্য ৩৪ শতাংশ।
তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন শেষে ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীদের ২০০ কোটি ও ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে ঋণ নেয়ার পরিমাণ ছিল ৭৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীদের দুইটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে ঋণ নেয়ার পরিমাণ দাাঁড়িয়েছে ৮১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সেই তিন মাসে পুন:অর্থায়ন স্কিম থেকে ঋণ নেয়ার পরিমাণ বেড়েছে ৩৬ কোটি টাকা।
এছাড়া, চলতি বছরের জুন শেষে এসব হিসাবের মাধ্যমে আসা মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৩২ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এসব হিসাবের মাধ্যমে পাওয়া প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২৭ কোটি টাকা।
এএ