‘দাম তুলনামূলক কম। কোয়ালিটি ভালো, জিনিস ভালো। দেখতে সুন্দর। বিক্রয়োত্তর সেবায় সেরা। হাতের কাছে শোরুম। এসব কারনেই মার্সেল পণ্য দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের সেরা ব্র্যান্ডে পরিনত হবে মার্সেল। মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে আমি গবর্বোধ করি।’
কথাগুলো বলছিলেন, টাঙ্গাইলে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর ইয়েস ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী আয়নাল হক। তাঁর কথাতে উঠে আসে মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর বা ডিলারদের সন্তুষ্টি। যাতে ফুটে উঠে মার্সেলের পণ্যমান, গ্রাহকপ্রিয়তা, পণ্যের আউটলুক, বিক্রি এবং আফটার সেলস সার্ভিসসহ সার্বিক দিক। যা একটি পণ্যের বাজার আধিপত্য অর্জনে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। সারা দেশে মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসে একই রকম চিত্র। দেশজুড়ে ৫ শতাধিক ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে মার্সেলের। বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য রয়েছে অসংখ্য সার্ভিস সেন্টার, যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজার প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুরে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ শোরুম ’সততা এন্টারপ্রাইজ’ এর সত্ত্বাধিকারী মুস্তাফিজুর রহমান সুজন। তিনি বলেন, ‘ফ্রিজ ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে এখানকার অধিকাংশ ক্রেতা মূল্যটাই আগে দেখেন। মার্সেল প্রোডাক্ট দেখতে আকর্ষণীয়। সার্ভিসও খুব ভালো। আর তাই অন্যদের চেয়ে মার্সেলই এগিয়ে। অন্যান্য শোরুমের চেয়ে আমার বিক্রিও খুব ভালো। যেকারণে এ অঞ্চলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।’
মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি অন্য একটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের দোকানে চাকরি করতেন। যেখানে তিনি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় ক্রেতা বা গ্রাহকদের আচার-আচরণ ও চাহিদা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বিদেশী পণ্যের শোরুম থাকা সত্ত্বেও আমি অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই মার্সেলের শোরুম দিয়েছি। যেহেতু এখানকার গ্রাহকদের কাছে মার্সেল সম্পূর্ণ নতুন একটি ব্র্যান্ড ছিল, তাই স্থানীয় বাজার, ইউনিয়ন, গ্রামগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা চালাই। এক্ষেত্রে মার্সেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছিল। প্রথম দিকে আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ভালো সার্ভিসের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্সেলের ফ্রিজ ও টেলিভিশন বিক্রি করি। এগুলো খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে দেখে অন্যরাও মার্সেল পণ্য কিনেন। ঝুঁকি নিয়ে মার্সেলে বিনিয়োগ করলেও, এখন এই বিনিয়োগ নিরাপদ। সেইসঙ্গে দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করেও আমি গর্ববোধ করি।
নরসিংদীতে তৌফিক ইলেকট্রনিক্স এর প্রোপাইটার জালাল উদ্দিনও নিজেকে সফল বলে দাবি করেন। জালাল বলেন, স্থানীয় ক্রেতারা যে পণ্যের মূল্য কম, দেখতে সুন্দর ও টিকে বহুদিন সেই পণ্যকেই বেছে নেন। বিশেষ করে মার্সেল ফ্রিজের ডিজাইন খুব সুন্দর। বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে দামেও অনেক সাশ্রয়ী। ভালো পণ্য, দাম কম-গ্রাহকদের এই চিন্তাধারাকে টার্গেট করেই মার্সেলে বিনিয়োগ করি এবং দেশীয় এই কোম্পানির পরিবেশক হিসেবে আমি খুবই সফল।
টেকনাফে টিএন্ডটি রোডের নাবিল ইলেকট্রনিক্স এর মালিক মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল টেকনাফের ক্রেতাদের মধ্যে মার্সেলের পণ্য বিশেষ করে ফ্রিজ ও এলইডি টিভি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘মার্সেলের উচ্চমানের পণ্য বিক্রি সামাজিকভাবে আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে। যা আমার কাছে বিশাল এক পাওয়া।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি সবসময়ই একক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করাকে সমর্থন করি। তাই, যতোদিন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা করবো ততোদিন মার্সেলের সাথেই থাকবো’।
কুমিল্লা দেবিদ্বারে অন্তরঙ্গ ইলেকট্রনিক্স এর সত্ত্বাধিকারী হুয়ায়ুন কবীর বলেন, মার্সেল শোরুম চালু করার আগে এখানে বিদেশী ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য বেশি বিক্রি হতো। সাশ্রয়ী দাম, আধুনিক ডিজাইন, দীর্ঘস্থায়ী সার্ভিস ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের দিকগুলো বিবেচনা করে এখানে এই ব্র্যান্ডটিকে প্রতিষ্ঠিত করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে শোরুম চালু করি। শুরুতে স্থানীয় বাজারের প্রতিটি দোকানে কিস্তি বা বাকিতে ফ্রিজ দিয়েছি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যদি তারা ভালো সার্ভিস না পান তাহলে তাদের কাছ থেকে ফ্রিজগুলো ফেরৎ নেয়া হবে। ভালো সার্ভিস পাওয়ায় এখন সবাই মার্সেল ফ্রিজ কিনতে উৎসাহ বোধ করেন। ফ্রিজ ব্যবহারের সময় ছোটখাটো কোনো সমস্যার কথা জানালে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই টেকনিশিয়ানরা গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা দেন। মার্সেলের এই বিশেষ দিকটি গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।