বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের আন্দোলনে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুই মামলায় ৫ হাজার আসামী। এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিনটি মামলা হলো।
শনিবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুর পর্যন্ত ওই তিনিটি মামলায় ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নাম ও পরিচয় জানায়নি পুলিশ। কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানার, বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা বন্ধ হওয়া ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে ও বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে তারা অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাংচুর, তিনটি বাস এবং একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেন। এক পর্যায়ে তারা স্থানীয় গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) গ্রামীণ ফেব্রিকস কারখানার পক্ষে মামলা দায়ের করেন কারখানার প্রশাসন ব্যবস্থাপক (এডমিন ম্যানেজার) তরিকুল ইসলাম।
বাসের মালিক হাবিবুল্লাহ আকন্দ জানান, তাঁর বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে তিনি একটি মামলা রুজু করেছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) তাঁর মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে, গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম পুলিশের ওপর হামলা এবং দায়িত্বপালনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরীর সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা রয়েছে। ওইসব কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কাজ করেন। গত কয়েক মাস যাবত তাদেরকে নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বকেয়া পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা বেশ কয়েকদফা আন্দোলনসহ মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে সরকার ঋণ দিয়ে শ্রমিকদের আংশিক বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে।
এনজে