‘পপুলার লাইফ ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেছে’
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৫-০১-২৫ ১৭:১০:৪০
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোগে আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পপুলার লাইফের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ)’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী।
সভায় পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ)’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী বলেন, দেশের বীমা খাতের ৩৫টি কোম্পানির মধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানিগুলোর মধ্যে পপুলার লাইফ সেরা অবস্থানে রয়েছে। পপুলার লাইফ যেভাবে বীমা দাবি পরিশোধ করছে অনেক কোম্পানি সেভাবে বীমা দাবি পরিশোধ করছে না। বিগত সময়ে কয়েকটি লাইফ বীমা কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে কোম্পানিগুলো বীমা দাবি পরিশোধ করতে পারছে না। এর নেতিবাচক প্রভাব আমাদের উপরও পড়ছে। আমরাও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পপুলার লাইফ সরকারের কোষাগারে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেছে। আর গ্রাহকের ৬ হাজার ৩০৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। এছাড়া, মাদক বিরোধী কর্মকান্ড, ভিটামিন ই-ক্যাম্পিং, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
বি এম ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের পরিচালকরা সব সময় বলে থাকেন- আমরা লাভের জন্য কোম্পানি করিনি, আমরা কোম্পানি করেছি দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য। তিনি বলেন, আমরা আমাদের পরিচালকদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই দেশের জনগনকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পপুলার লাইফের সাথে আমাদের পরিচালকদের সকলের আবেগ জড়িত। এ কোম্পানিকে আমরা কখনো কোম্পানি হিসেবে দেখিনি। এটা আমাদের পরিবারের মতো। এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমি আর কিছু আছে বলে মনে করিনা। আমি ব্যস্ততার কারণে এখানে সময় দিতে পারিনি।
তিনি বলেন, কোন বীমা কোম্পানির সম্পদ যদি না বাড়ে তাহলে সে কোম্পানি দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারবে না। কোম্পানি যত ব্যবসা করুক সম্পদ বাড়তে হবে। কোম্পানির সম্পদ বাড়ালে আমরা সবাই লাভবান হবে। তিনি বলেন, বীমা কোম্পানিগুলো সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে ছোট ছোট অনেক কাজ করেন। তাদের সিএসআর (করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) ফান্ডের অর্থ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে থাকেন। এক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলোর এই অর্থ এমন জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন যাতে দেশ ও জনগণ উপকৃত হয়। যা কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিবে। একইসঙ্গে তাদের ব্যবসাও বাড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স গঠনের পরিকল্পনা এসেছিলো পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে। ১৯৮৫ সালের দিকে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের প্রথম মিটিং হয়েছিলো আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায়। পিপলস ইন্স্যুরেন্সের যে কয়েকজন পরিচালক ছিলেন তাদেরকে নিয়ে পরবর্তীতে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্মসংস্থান ও আর্তসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের যাত্রা হয়েছিলো। তাদের সেই স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে সামনের দিকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
এনজে