জন্মদিনে বড়পর্দায় মীম
প্রকাশ: ২০১৫-১০-২৫ ১৬:১৫:৪৪
ইদানীং নেটওয়ার্কের বাইরে থাকেন মিম। মুঠোফোনের সিগন্যালে পাওয়া যায়না খুব একটা। খোঁজ নিতে হয় ভিন্নখাতে। সূত্র জানায়, মিম তো দেশেই নেই! তাহলে কোথায়? ওপাশ থেকে কখনো খবর আসে থ্যাইল্যান্ড, কখনো কলকাতা। ব্যাংকক-কলকাতা রুটটা এখন তার বড্ড চেনা। যাত্রাবাড়ি টু উত্তরার মতো। সকাল-সন্ধ্যা হাওয়া পাল্টান। আমোদে নয়, শুটিংয়ে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ভারত যৌথ ‘ব্ল্যাক’ সিনেমার শুটিং শেষ করলেন। ফিরলেন দেশে। একটু জিরিয়ে নেয়ার আগে হাজির হলো ‘দুর্গা পূজা’।
এবার পূজায় ছিল তার বিস্তর পরিকল্পনা। এটা করবেন ওটা করবেন। এখানে যাবেন, সেখানে যাবেন। তবে ধামাকা প্ল্যান ছিল পূজাটা কলকাতায় কাটাবেন। কলকাতার বড় বড় পূজা মণ্ডপে চষে বেড়াবেন। তার চোখের সামনে ভাসছে বোসপুকুর, যোধপুর পার্ক, চালতাবাগান, হেদুয়া পার্ক, সেলিমপুর! কত্তো গল্প শুনেছেন। কলকাতার সর্ববৃহৎ পূজার আসর বসে এখানে। সেই পূজার আনন্দে মাততে উড়াল দিলেন কলকাতায়।
ষষ্ঠীর দিন থেকেই ধুম পড়লো। কলকাতার অলিগলি, গলির মোড়, পাড়ায় পাড়ায় উৎসবের ঢেউ। ঢাক আর কাসরের তালে মাতোয়ারা পথঘাট। হোটেলের জানালার ফাঁক হলে আনন্দের ফোয়ারা মিমের মনেও লাগে। সন্ধ্যায় বেড়িয়ে পড়লেন রাস্তায়। গন্তব্য মন্ডপ। মাকে দেখবেন। কিন্তু রাস্তায় নেমে তার চোখ কপালে উঠল। লম্বা লাইন! কয়েকটা লালমনি এক্সপ্রেসের সমান! গিজগিজ করছে মানুষের মাথা। হরেক রকম মানুষ। বুড়ো মানুষ, ভালো মানুষ, কালো মানুষ, সাদা মানুষ। এত মানুষের ভিড় ঢেলে সামনে যাওয়ার সাধ্য তার নেই। পাশ কেটে ফিরে এলেন হোটেলে।
ভাবলেন, রাত গভীর হলে ভিড়টা কমবে। ফের বেরুলেন রাত একটায়। যেভাবেই হোক যেতেই হবে মন্ডপে। এত টাকা খরচাপাতি করে এলেন আর না দেখে যাবেন নাকি! কিন্তু রাস্তায় বের ফের বিষ্মিত! ভিড় সেই আগের মতোই! ভিড়ভাট্টায় পূজা শেষ হলো। কিন্তু স্বপ্নের পূজা মন্ডবে মা দুর্গার চরণধূলী নেয়া হয়নি তার। যদিও পাড়ার ছোটছোট মন্ডপগুলোকে ঘুরে দেখেছেন। কিন্তু তবুও একটুখানি শূণ্যতা তো ছিলই!
আগে থেকেই একটি পূজা মণ্ডপে উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। উদ্বোধন শেষে ভাষণে মিমের মুখে ঝরল, ‘আমি বাংলাদেশী মেয়ে। এবারই প্রথমবারের মতো কোন মণ্ডপ উদ্বোধন করছি। আমার জন্য আশির্বাদ করবেন। সামনে আমাদের ‘ব্ল্যাক’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। আশাকরি সবাই হলে গিয়ে দেখবেন।’
কিছু কেনাকাটা সেরে দেশে ফিরেছেন ২৩ অক্টোবর। জানালেন, ‘কালিপূজায় ‘ব্ল্যাক’ মুক্তি পাবে। তারিখটা ১০ নভেম্বর হতে পারে। তারিখটা সঙ্গে আমার ভালোবাসাও জড়িয়ে আছে। সেদিনই আমার জন্মদিন! সবমিলিয়ে ব্যাপারটা বেশ মজার হবে।’ দুই ধাপে মুক্তি পাবে ছবিটি। কলকাতায় মুক্তির দিন দুয়েক পর আসবে ঢাকায়। ছবিটি কলকাতার রাজা চন্দ্র ও বাংলাদেশের কিবরিয়া লিপু পরিচালনা করেছেন।
ব্ল্যাক ছাড়াও ‘রক’ নামে আরেকটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় ‘সুইট হার্ট’ এবং তানিয়া আহমেদের ‘গুডমর্নিং লন্ডন’ ছবি দুটো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সূত্র: বাংলামেইল
সানবিডি/ঢাকা/এসএস