মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী দিনে গত ১ জানুয়ারি ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় প্রধানমন্ত্রী ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে সজ্জিত বিভিন্ন পণ্য দেখেন। বিশেষ করে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ নিতে হাতে নিয়ে দেখেন। জানতে চান ওয়ালটন ল্যাপটপ সম্পর্কে।
প্যাভিলিয়নে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ ল্যাপটপ হাতে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় তিনি ল্যাপটপের ডিজাইন, আউটলুকিং, আকার ও ওজন দেখে খুশি হন। ওয়ালটনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারে ওয়ালটন ল্যাপটপ ভালো চলছে। ওয়ালটনের এই উদ্যোগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ওয়ালটনের কর্মকর্তারা আরো জানান, পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী ল্যাপটপের পাশাপাশি ওয়ালটন ব্্র্যান্ডের কম্প্রেসার, ফ্রিজ ও এনার্জি সেভিং হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রশংসা করেন। এসব পণ্য দেশেই তৈরি হচ্ছে জেনে তিনি গর্ববোধ করে বলেন, প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়।
প্রধানমন্ত্রী ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম ও তাহমিনা আফরোজ, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম এন্ড এডমিন) এসএম জাহিদ হাসান, ওয়ালটন গ্রুপের আইটি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লিয়াকত আলীসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
লিয়াকত আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ পরিদর্শনে আমরা খুব খুশি। তিনি ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে অনেক সময় দিয়েছেন। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, বছরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি আমাদেরকে উজ্জীবিত করবে। প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা আরো শক্তি পাব। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি আমাদের রসদ যোগাবে।’