সভ্যতার প্রথমলগ্ন থেকেই মানুষ জানতে চেয়েছে আগামীকে। ভবিষ্যৎ জানার এমনই এক পদ্ধতি হল ‘ট্যাসিওগ্রাফি’।‘ট্যাসিওগ্রাফি’ শব্দটির মধ্যে রয়েছে আরবি ‘ট্যাসা’ শব্দটি, যার অর্থ হল ‘চা’। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্রিক ‘গ্রাফ’ শব্দটি, যার অর্থ ‘লিখন’। ট্যাসিওগ্রাফি এর অর্থ দাঁড়ায় ‘চায়ের লিখন’।
ট্যাসিওগ্রাফার কোনও ব্যক্তিকে এক কাপ চা পান করতে বলেন। চা পান করার পরে, চায়ের কাপে চা-পাতা পড়ে থাকে। সেই পড়ে থাকা চা-পাতার প্যাটার্ন দেখেই নাকি বলে দেওয়া হয় সেই ব্যাক্তির ভাগ্য।
আনুমানিক সপ্তদশ শতক থেকে ইউরোপে ট্যাসিওগ্রাফি এক জনপ্রিয় ভবিষ্য কথন পদ্ধতি হিসেবে আবির্ভূত হয়। কেবল চা নয়, কফি বা ওয়াইন সেডিমেন্টকে ঘিরেও শুরু হয় ট্যাসিওগ্রাফি। তবে চায়ের জনপ্রিয়তাই ছিল সর্বাধিক। কারণ ওই সময়ে ইউরোপে চায়ের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। আর চিন থেকে আগত এই পানীয়কে ঘিরে ইউরোপীয়দের কৌতূহলও তখন তুঙ্গে।
কিন্তু মজার ব্যাপার এই যে, সেই ১৭ শতক থেকে আজ, এই দীর্ঘ কালপর্বে ট্যাসিওগ্রাফি নিয়ে পশ্চিমের কৌতূহল এক ইঞ্চিও কমেনি। এই মুহূর্তে ইন্টারনেটেও ট্যাসিওগ্রাফি-র রমরমা যথেষ্ট। ট্যারো বা সাধারণ জ্যোতিষের চাইতে নাকি অনেক বেশি কার্যকর এই চা-পাতার পাঠ।
কিন্তু আরও মজার ব্যাপার এই, ট্যাসিওগ্রাফি-কে কিন্তু একেবারেই পাত্তা দেননি হ্যারি পটার-সিরিজের রচয়িতা জে কে রাওলিং। গোটা সিরিজ জুড়ে তিনি মজা করে গিয়েছেন ট্যাসিওগ্রাফি নিয়ে।