নিল ওয়াগনারের করা ওভারের শেষ বল পঞ্চম বল ছিল ওটা। অফস্টাম্পের বাইরের একটি বলকে পয়েন্টের দিকে ঠেলে দিয়েই ছুটলেন তামিম ইকবাল। সঙ্গীর ডাকে সারা দিয়ে ছুটলেন ইমরুল কায়েসও। তবে রানটা পুরো করতে গিয়ে ইমরুলকে দিতে হলো ডাইভ।
এই ডাইভটিই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াল। দারুণ খেলতে থাকা ইমরুল আঘাত পেলেন কোমরে। চোটটা এমনই যে ফিজিওর শুশ্রূষা শেষেও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না বাংলাদেশের এই ওপেনার। মাঠ ত্যাগের সময় অন্যদের কাঁধে ভর দিয়েও হাঁটতে পারলেন না। স্ট্রেচারে শুয়েই ড্রেসিং রুমে ফিরতে হলো তাঁকে।
ইমরুলের চোট বড় ধাক্কা হয়েই এল। তবে ধাক্কাটা আরও জোরে দিলেন মিচেল স্যান্টনার। তামিমকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে এনে দিলেন আনন্দের উপলক্ষ। বাংলাদেশের লিড তখন ১০০ ছাড়িয়েছে। তামিম ফিরেছেন ২৫ রানে।
মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ওয়াগনারের বলে লেগ স্টাম্পের বাইরের একটি বলকে তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ভালো শুরুর পর হঠাৎ করেই যেন বিপর্যয়ে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
বিপর্যয়টা আরও বড় হয়েছে দিনের শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের এক বোকামিতে। ওয়াগনারের বলে যেখানে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট তিনি। রান আউটের পুরো কৃতিত্ব অবশ্য স্যান্টনারের। সরাসরি থ্রোতেই তিনি ভেঙে দেন নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্প।
৫৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ১২২ রানে। স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৩ উইকেটে ৬৬। ইমরুল কায়েস কিংবা আঙুলে ব্যথা পাওয়া মুশফিকুর রহিম ব্যাট করতে না পারলে সেটি হবে আরও বড় আঘাত।