মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ঐক্য, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালে মুক্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ শান্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
মোনাজাতের চলাকালে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির কন্ঠে ‘ হে আল্লাহ, ইয়া আল্লাহু, আমিন’, ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর।
আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ্ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজতের আশায় দুই হাত তুলে অনুনয়-বিনয় করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শরিক হওয়া বিভিন্ন বয়সি মানুষ।
বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি ভারতের হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ বেলা ১১টা ১ মিনিটের দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু করেন। মোনাজাত শুরুর পর সমগ্র ইজতেমাস্থল ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নেমে আসে পিনপতন নিরবতা। মোনাজাত চলে ১১ টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। ৩৫ মিনিট স্থায়ী এ আখেরি মোনাজাত চলাকালে ক্ষণে ক্ষণে ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনিতে চারপাশ সরব হয়ে ওঠে। হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ আখেরি মোনাজাত আরবি ও উর্দু ভাষায় পরিচালনা করেন।
মুসল্লিদের সঙ্গে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুজ্জামান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্যাহ খান প্রমুখ মোনাজাতে অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে গেলে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলিতে অবস্থান নেন। পুরানো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন।
এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি, কলকারখানা-অফিস, দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলের চারপাশের ৫-৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। নানা বয়সি ও পেশার মানুষ এমনকি নারীরাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার সকালেই টঙ্গী এলাকায় পৌঁছেন।