স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সংকট সমাধান হবে : বিএসএমএমইউ ভিসি
প্রকাশ: ২০১৭-০১-২১ ১৬:২২:০২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চলমান সংকটে নিজেদের ‘বিব্রত’ বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের হস্তক্ষেপে এই সংকট সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।
শনিবার দুপুর আড়াইটায় বিএসএমএমইউ এর কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ভিসি বলেন, এ বিষয়ে শনিবার ডিন কমিটি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কমিটির তিনজন সদস্য ছিলেন না। তাদের কেউ দেশের বাইরে এবং কেউ ছুটিতে আছেন। চলমান দুটি সংকট নিরসনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি তিনি বগুড়ায় আছেন। মন্ত্রী ঢাকায় ফিরে মঙ্গলবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আশা করছি সংকট কেটে যাবে।
বিএসএমএমইউ একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাদের নিজস্ব আইনকানুন রয়েছে। এরপরও পরিস্থিতি কি এতই জটিল যে সরকারের হস্তক্ষেপ নেয়া হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, পরিস্থিতি অতটা জটিল নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। মঙ্গলবার তার উপস্থিতিতে বৈঠকে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
যে ২টি সংকটের কথা বলা হয়েছে সেগুলো ভিসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ এর নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে পরীক্ষার ২০ দিন পর কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। দ্বিতীয় হচ্ছে, ভিসি ও প্রো-ভিসি দ্বন্দ্ব। দুর্ভাগ্যজনক হলেও বিষয়টি সত্য নয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। আপনাদের কাছে এগুলো তুলে ধরবো।
যদি প্রো-ভিসির উপর হাত তোলার ঘটনা প্রমাণিত হয়, তবে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? ভিসিকে লক্ষ্য করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়, যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তারা যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তাই মেনে নেবো। তবে আমি নিশ্চিত করছি এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। একজন ভিসি কারও গায়ে হাত তুলতে পারেন না।’
নার্স নিয়োগে আপনার এলাকার প্রার্থীদের প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, সব আইন মেনেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আমি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আইনের কোনা ব্যত্যয় দেখিনি। তাছাড়া এ বিষয়ে আমার হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য আসেনি।
এর আগে প্রো-ভিসি জাকারিয়া স্বপনকে শারীরিক হেনস্তার অভিযোগে শনিবার সকাল থেকে বিএসএমএমইউতে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর পরপরই জরুরি বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি জরুরি নোটিশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।