সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ—দুজনেই আউট হলেন তিরিশের ঘরে। নিজেদের ইনিংস বড় করার ক্ষেত্র তৈরি করেও তাঁরা পারলেন না। সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমানও। চা বিরতির পর পড়েছে আরও ৩ উইকেট। ৮ উইকেট হারিয়ে এই মুহূর্তে হারই দেখছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের এগিয়ে আছে মাত্র ৬১ রানে।
ভালোই খেলছিলেন সৌম্য সরকার। ৬৪ বলে ৩৬ রান করে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বড় ইনিংস খেলার দিকে। কিন্তু গ্র্যান্ডহোমের বলে গালিতে জিত রাভালের দারুণ ক্যাচে ফেরেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে সাউদির ২০০তম শিকার হয়ে গ্র্যান্ডহোমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাকিব। রাভালের কল্যাণে অবশ্য তিনি এর একটু আগেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন।
মাহমুদউল্লাহ ৩৮ রানে আউট হয়েছেন অদ্ভুত এক শট খেলে। নিল ওয়াগনারের বলটি ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্পে নিয়ে এসে বোল্ড হন তিনি। চা বিরতির আগে দিয়ে ওয়াগনারেরই একটি শর্ট বলের শিকার হয়ে উইকেটকিপার বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দেন সাব্বির রহমান।
সাব্বির আউট হওয়ার পরই চা বিরতি। বিরতি থেকে ফিরে আবারও ওয়াগনারের আঘাত। এবার তাঁর শিকার নুরুল হাসান। ওয়াগনারের এক ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের নড়বড়ে ব্যাটিং আরও ভেঙে পড়ল। অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন কিছুটা লড়াই চালিয়েছিলেন। কিন্তু বোল্টের দুর্দান্ত ইয়র্কারে তিনিও পরাস্ত। নাজমুল করেছেন ৬০ বলে ১২ রান।
রাভালের হাতে স্লিপে একটি ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু সেই সুযোগটি তিনি কাজে লাগাতে পারলেন না। বোল্টের বলে টম লাথামের ক্যাচ হওয়ার আগে করেছেন ২২ বলে ৪।
এর আগে ৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। অহেতুক এক পুল শট খেলে ফিরে যান দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কার্যত নিজের উইকেটটা সাউদিকে উপহারই দিয়েছেন তামিম। শর্ট বল দিয়ে প্রলুব্ধ করেছিলেন সাউদি। তামিমের পুল সোজা গিয়ে জমা হয় ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো মিচেল স্যান্টনারের হাতে। আউট হওয়ার আগে তামিম করেছেন ৮ রান। তামিম আউট হওয়ার ৪.২ ওভার পরেই মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে দুই দল।
এই ৪.২ ওভারে উইকেট নেওয়ার মতো বেশ কয়েকটি বল করেছেন বোল্ট-সাউদি। তবে সেগুলো বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। সৌম্য অবশ্য বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে দিয়ে রানআউটের শঙ্কার মধ্যে পড়েছিলেন। একটু আয়েশি ভঙ্গিতে রান পূর্ণ করার খেসারতটাই দিচ্ছিলেন তিনি। সময়মতো ক্রিজে ব্যাট রেখে সে যাত্রায় বেঁচে গেছেন তিনি।