মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকে চুক্তিতে তিন বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১ নভেম্বর তার লিয়েন শুরু হবে, এজন্য তিনি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্বে থাকছেন।
শফিউল আলম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘খুশি হয়েছি, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। সরকার যে নতুন দায়িত্ব দিয়েছে, আমি তা পালনের চেষ্টা করবো।’ তিনি ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাবেন।
শফিউল ১৯৫৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯-৮০ সালে বিএ ও এলএলবি পাস করেন, ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ সম্পন্ন করেন। লন্ডনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশাসন উন্নয়ন বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
শফিউল আলম এর আগে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ও ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের (সচিব পদ মর্যাদা) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবং রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে সড়ক পরিবরহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) অতিরিক্ত সচিবও ছিলেন শফিউল।
এছাড়া তিনি মাগুরা ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি), বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ (বিপিএটিসি) কেন্দ্রের এমডিএস (মেম্বার ডিরেক্টেং স্টাফ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভা ও বিভিন্ন মন্ত্রিসভা কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে মন্ত্রিসভা ও এর কমিটিগুলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন তথা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাজের তদারক করে থাকে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাজের সমন্বয় সাধনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব।
সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের অন্যতম ফোরাম সচিব সভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সভার সভাপতি। তাছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিভিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে পদোন্নতির সুপারিশকারী সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাপতি।