নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করতে আজ প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছে সার্চ কমিটি।
শনিবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সার্চ কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, কথা বলছেন। এছাড়া কমিটির কার্যক্রমে সাচিবিক সহায়তা প্রদানকারী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও যোগাযোগ শুরু হয়েছে। সুপারিশ চূড়ান্ত করতে সার্চ কমিটি একাধিক বৈঠক করতে পারে বলে জানা গেছে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে (আহ্বায়ক) ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ২৫ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১০ দিনের মধ্যে সার্চ কমিটিকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সার্চ কমিটির সদস্যদের দেয়া নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।
২০১২ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চার সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটি করেছিলেন। জিল্লুর রহমান ওই কমিটিতেও আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করেছিলেন। সদস্য হিসেবে তিনি রেখেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যানকে।
উল্লেখ্য, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য তিন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।
আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে (আহ্বায়ক) গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ওবায়দুল হাসান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।
আওয়ামী লীগ এ কমিটিকে স্বাগত জানালেও বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগের পছন্দের লোকদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি।