‘আপনি সময়কে বাড়াতে পারবেন না। কিন্তু আপনার দক্ষতা দিয়ে ৪৮ ঘন্টার কাজ ২৪ ঘন্টায় করতে পারবেন। সেজন্যে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলতে হবে। তাদের নেতৃত্ব সম্পন্ন করে তুলতে হবে। তবেই আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) চতুর্থ স্নাতকোত্তর সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। শনিবার বেলা ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ভবন চত্বরে আয়োজিত এই সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে চার ক্যাটাগরিতে ১২টি ব্যাচের ৪৪৮ শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তর সনদ প্রদান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ এ আমরা সাড়ে সাত কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন আর রিলিফ নেয় না, বরং রিলিফ দেয়। বন্যা কবলিত শ্রীলংকায় আমরা ১শ টন চাল, মালদ্বীপে সুনামীর পর ৩০ লাখ লিটার পানি এবং নেপালে ভূমিকম্পের পর রিলিফ পাঠিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ সিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহ্ নওয়াজ এবং রাবি উপ-উপার্চায অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইবিএ’র পরিচালক অধ্যাপক মু. রফিকুল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক।
অনুষ্ঠানে ১২টি ব্যাচের প্রথম স্থান অর্জনকারী ১২ জনকে স্বর্ণপদক প্রদানসহ এক্সিকিউটিভ এমবিএ’র ১২৪ জন, সান্ধ্যকালীন এমবিএ’র ১০২ জন, দিবাকালীন এমবিএ’র ৮৭ জন এবং বিবিএ স্নাতকদের এমবিএ’র ১৩৫ জনকে সনদ প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট হিসেবে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর রাবি আইবিএ এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তর সনদ প্রদান করেছে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে রাবি আইবিএ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।