ভূত শিকার যখন পেশা
আপডেট: ২০১৫-১০-২৬ ১২:৫৯:৫৫
পর্যটনের জন্য যে সমস্ত দেশ বিখ্যাত, তাদের মধ্যে রয়েছে নরওয়ের নামও। তবে এখন সে দেশের যারা বেড়াতে যাচ্ছেন, তাদের কাছে নয়া আকর্ষণ হয়ে উঠেছে শিকার। না, পশু নয়। বরং ভূতের শিকার। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। যাদের চোখে দেখা যায় না, বরং অনেকেই তাদের অস্তিত্বটুকুই টের পান, সেই ভূতেদের শিকারের ব্যবসা এখন নরওয়েতে রমরমিয়ে চলছে। অনেক পর্যটকই নাকি এখন সে দেশে ভূতেদের অস্তিত্ব টের পেতে যেতে চাইছেন। চোখের সামনে দেখতে চাইছেন, কী করে শিকারিরা নিপুণভাবে ভূতেদের দখল থেকে কোনও বাড়ি বা এলাকাকে মুক্ত করছেন। দাবি ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলির। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
ইউরোপের বাসিন্দা মারিয়ান হালান্ড বগদ্যানভের কথাই ধরা যাক। ঈশ্বরে তেমন বিশ্বাস নেই। চার্চেও যান শুধু ওই বড়দিনের সময়টুকুই। কিন্তু যখন দেখলেন নিজের অফিসে অদ্ভুত কিছু কীর্তি শুরু হয়েছে, যেমন কম্পিউটার নিজে থেকেই চলতে শুরু করছে, পচা গন্ধে অফিস ছেয়ে যাচ্ছে-তখন আর দেরি করেননি। শরণাপন্ন হয়েছেন এক ভূত শিকারির। কেতাবি ভাষায়- ঘোস্ট হান্টারের। মিটিয়েছেন মোটা খরচ। এখন দিব্যি ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন নিজের অফিসেই। ভূতেদের দৌরাত্ম আর নেই। স্বীকার করেছেন নিজেই।
ভূতেদের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই অশরীরীর অস্তিত্ব স্বীকার করতে না চাইলেও এই দুনিয়ায় এমন অনেক কিছু ঘটে, যার সাদা চোখে ব্যাখ্যা করা যায় না। নরওয়ের মত উন্নত দেশেও ভূতেদের অস্তিত্ব অনেকেই স্বীকার করেন। এমনকী, সে দেশের রাজপরিবারও। নরওয়ের এক স্কুলের শিক্ষক ও একজন যাজক রোর ফটল্যান্ড বলছেন, ভগবানে বিশ্বাস করুন বা না করুন। অশরীরীদের অস্তিত্ব উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর মানতে না চাইলেও এটাই সত্যি যে এই দেশের অশরীরী আত্মাদের দাপাদাপি বাড়ছে।
আর তাই সে দেশে এখন ভূতেদের শিকারির সংখ্যাটাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমনকী, কেউ যাতে গ্রাহকদের ঠকাতে না পারেন, তার ব্যবস্থাও রয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস