জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া, সহকারী রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবীবের স্থায়ী বহিষ্কার ও প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ বেলা এগারটায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে জাককানইবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা এতে বাধা প্রদান করেন ।
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে শিক্ষার্থীরা কলা ভবনের নিচে অবস্থান নেয় । এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে “নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতি চলবেনা, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ মানব না, মানি না, প্রতিমা ভাংচুরকারীদের বিচার চাই” ।
ছাত্রলীগের বাধা প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ বলেন, আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুঝাতে চেষ্টা করেছি, আমার মনে হয় তারা বুঝেছে । ফলে তারা আর মিছিল করেনি । বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে বিশৃংখলা না হয় এজন্যই তাদেরকে বুঝিয়েছি ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা ভেবেছিলাম ছাত্রলীগ আমাদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করবে । কিন্তু কেন যে বাঁধা দিল এটা বোধগম্য নয় ।
সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা । এই ঘটনার জের ধরে সহকারী রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবীব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গরু বলে আখ্যায়িত করায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা লাঠি মিছিল করেন ।
উল্লিখিত বিষয়ে গতকাল ০৪-০২-২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তানুযায়ী তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি এহসান হাবীবের স্থায়ী বহিষ্কার । উক্ত ঘটনার তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ (৫) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটিতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর অন্তর্ভুক্ত করার সিন্ডিকেটের প্রস্তাব অনুযায়ী তদন্ত কমিটিকে পুর্নগঠন করা হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির নিকট থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সানবিডি/জাককানইবি/আজিজার/এসএস/জেএইচ