দাঁত মাজতে না চাওয়ায় মায়ের লাথিতে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গেইদার্সবার্গ শহরে। নিহত শিশুটির নাম নোহেরি আলেকজান্দ্রা মার্টিনেজ হার্নান্দেজ। ওই মায়ের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নোহেরির মা আইরিস হার্নান্দেজ রিভাস (২০) জানিয়েছেন, তার মেয়ে গোসল করতে বাথরুমে গিয়েছিল। ১৫ মিনিট পর তিনি দেখতে পান, আইরিস বাথট্যাবের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তার পরপরই তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান।
এরপর নোহেরিকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। অবস্থা সংকটজনক হলে তাকে ওয়াশিংটন ডিসির চিলড্রেনস ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা যায় নোহেরি।
আইরিশ প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বেশিক্ষণ নিজের অপকর্ম লুকিয়ে রাখতে পারেননি। পুলিশ জানিয়েছে, নোহেরিকে লাথি মারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তার মা। দাঁত মাজতে না চাওয়ায় তাকে লাথি মারা হয়েছিল। আর লাথির আঘাতে পেছনের দেয়ালের ওপর পড়ে যায় সে। কয়েক দিন আগেই নোহেরিকে বেল্ট দিয়ে পিটিয়েছিলেন তিনি। এতে তার গায়ে কালসিটে দাগ পড়ে যায়।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আইরিশ প্রায়ই বাচ্চাটাকে মারধর করতেন। ঘরে সবসময় চিৎকার-চেচামেচি করতেন। পুলিশের ধারণা, মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা হয়ে যাওয়া আইরিশ মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না। যে বয়সে তার কলেজ বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে থাকার কথা, লেখাপড়া করার কথা সেই বয়সে সংসারের চাপ তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। এ কারণেই এমন অস্বাভাবিক আচরণ করতেন তিনি।