হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকায় এসে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দেবে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার সকালে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজত। এ দাবি মানা না হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে এবং চট্টগ্রামে আন্দরকিল্লাহ শাহী মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল বের করবে তারা। এতেও যদি এই মূর্তি অপসারণ করা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে হেফাজত।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্ট-প্রাঙ্গণে কথিত ন্যায়ের প্রতীক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন হচ্ছে চরম ধৃষ্টতা এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননাও বটে। এটি দেশের তৌহিদি জনতার ঈমানী চেতনা, ধর্মীয় ভাবধারা ও মূল্যবোধ বিরোধী এবং সেইসঙ্গে স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও আত্মমর্যাদাবোধেরও সম্পূর্ণ বিপরীত। বক্তারা আরও বলেন, আমরা ভাস্কর্য বিরোধী নই। তবে এটি হতে হবে আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বক্তারা বলেন, এটি কেবল মূর্তি নয় দেবী। এটাকে যদি কেউ ন্যায়বিচারের প্রতীক মনে করে তাহলে তারা মুসলমান নয়। অবিলম্বে এটি অপসারণ করতে হবে তা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী ধরনের ভাস্কর্য হতে পারে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বক্তারা বলেন, ভাস্কর্য হতে পারে যেমন পবিত্র আল-কোরআন, ধান, পাট, মক্কা-প্রতিষ্ঠানের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের একটি বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেল বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ভাস্কর্য এবং মূর্তির মধ্যে পার্থক্য বোঝা প্রয়োজন। ভাস্কর্য এবং ধর্মীয় প্রতিমাকে গুলিয়ে ফেলার একটা প্রবণতা আমাদের সমাজে আছে। সেই সুযোগ নেয় ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। এখনো তাই হয়েছে। এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, ভাস্কর্য এবং মূর্তির পার্থক্যের জ্ঞান তার মতো ধর্মীয় জ্ঞানহীন অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে শিখতে হবে না। দেশের আলেম সমাজকে বোকা ভাবাই মূর্খতার পরিচায়ক।