সহকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টায় মিটফোর্ডের চিকিৎসক বরখাস্ত
আপডেট: ২০১৫-১০-২৬ ১৩:৩১:২৫
নারী সহকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে অবশেষে বরখাস্ত হলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাসুদ ইকবাল। রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা শাখা-১ ওই চিকিৎসককে চাকরি থেকে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হলো মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও উপ-সচিব আসমা তাসকিন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপন সকল সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর অনুলিপিও পাঠিয়ে ডা. মাসুদ ইকবালকে বরখাস্তের বার্তা জানানো হয়।
ডা. মাসুদ ইকবাল বলেন, ‘আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে- এ ধরনের সংবাদ আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। এ বিষয়ে কোনো ধরনের লিখিত চিঠি কিংবা বার্তা পাইনি।’
কিডনি বিশেষজ্ঞকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ২০১৪ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তখন ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসক এবং অভিযুক্ত ডা. মাসুদ ইকবাল দুইজনেই জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে কর্মরত ছিলেন।
তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাজাহান মণ্ডল। নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালাউদ্দিন আহমেদ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে শুনানি শেষে বিচারক ডা. মাসুদ ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
তবে আদালত অভিযোগ গঠনের পরও মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত না করায় মামলার বাদী মামলা ক্ষতিগ্রস্ত ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিচার প্রার্থনা করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বরাবর আবেদন করেন ওই নারী চিকিৎসক।
সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টে দায়েরকৃত ১০৬৪৪/২০১৫রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ডা. মাসুদ ইকবালকে তিন মাসের জন্য বরখাস্তের নির্দেশ দেন। বরখাস্তকালীন বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন ওই চিকিৎসক।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস