প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা অর্থ গুনলো বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রোববার ইন্টারনেট প্যাকেজের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করায় গ্রামীণফোনকে জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শাহীন আরা জানান, প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গ্রামীণফোনকে জরিমানা করা হয়েছিল। তারা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বুধবার আড়াই লাখ টাকার একটি চেকে জরিমানার অর্থ প্রদান করেছে। আগামী রোববার অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ প্রদান করা হবে।
অভিযোগকারী আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক জানান, ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দারুণ ঈদ অফার নামে ইন্টারনেট অফারের একটি এসএমএস আসে। অফারে এক জিবি (গিগাবাইট) ইন্টারনেটের সঙ্গে ২ জিবি ফ্রি দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। যার মূল্য ২৭৫ টাকা এবং মেয়াদ ২৮ দিন। এসডি এবং ভ্যাট প্রযোজ্য।
তবে যখন এসডি ও ভ্যাটসহ ৩২৫ টাকা ৭৪ পয়সা দিয়ে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট প্যাকেজটি গ্রহণ করি, তখন বলা হয় বোনাসের মেয়াদ অর্থাৎ ফ্রি ২ জিবির মেয়াদ হবে মাত্র ৭ দিন। ব্যবহার করা যাবে রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সমাধান দেয়নি। পরে গ্রামীণফোন মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং তথ্য গোপন করে পণ্য বিক্রি করে প্রতারিত করেছে বিধায় অধিদফতরে অভিযোগ দায়ের করি।
জানা গেছে, গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থী। প্রতারণা ও যথাযথ সেবা প্রদান না করার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার ভিত্তিতে গ্রামীণফোনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাদের এ জরিমানা করে অধিদফতর।
বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।