মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’ সিনেমা নিয়ে চলছে বিতর্ক। যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি সিনেমাটি অনাপত্তিপত্র স্থগিত করার পরই মূলত ‘ডুব’ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়।
এদিকে হুমায়ূনপত্নী মেহের আফরোজ শাওন জানিয়েছেন, তিনি চান না কোনো সিনেমা নিষিদ্ধ হোক। আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর ধানমন্ডির বাসা ‘দখিনা হাওয়া’য় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শাওন। এ সময় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মেহের আফরোজ শাওন বলেন, “‘ডুব’ সিনেমায় হুমায়ূন আহমেদের জীবনের স্পর্শকাতর ঘটনা নেই, তা নির্মাতা স্পষ্টভাবে কোনো বক্তব্যে জানাননি। হুমায়ূন আহমেদের জীবনের স্পর্শকাতর ঘটনা থাকার যে আশঙ্কা আমি করেছিলাম তা সত্য বলেই মনে হচ্ছে। তবে আমি একজন নির্মাতা হিসেবে চাই না কোনো সিনেমা নিষিদ্ধ হোক। ‘ডুব’ সিনেমাটি বিতর্কিত অংশগুলো সংশোধন করে মুক্তি পেতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, ‘হুমায়ূনের স্ত্রী হিসেবে, তার একজন ভক্ত পাঠক হিসেবে বলব, হুমায়ূন আহমেদকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা কোনো চলচ্চিত্রের পক্ষে অামি নই। প্রয়োজনে সেন্সর বোর্ড যদি সিনেমাটি দেখার আমন্ত্রণ জানায়, তবে আমি সিনেমাটি দেখে অসঙ্গতি দেখিয়ে দিতে পারব।’
যৌথ চলচ্চিত্রের নীতিমালা মেনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রিভিউ কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয় সিনেমাটি। প্রিভিউ শেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক অনাপত্তিপত্রের মাধ্যমে ছাড় দেয় কমিটি। কিন্তু তার এক দিন পরই ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় এক আদেশে অনাপত্তিপত্রটি স্থগিত করা হয়।
এদিকে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা হওয়ার আগেই পরিচালক-অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন সিনেমাটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। শাওন সেন্সর বোর্ডে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পারি ‘ডুব’ সিনেমা জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনী অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। এতে পরিবারের কারো অনুমতি নেয়া হয়নি। তাই বিষয়টি সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
‘ডুব’ সিনেমার শুটিং অনেক আগেই শেষ হয়েছে। মুক্তির জন্য সব প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। এমন অবস্থায় গত বছরের ৪ নভেম্বর কলকাতার একটি শীর্ষ দৈনিক ‘হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে ইরফান? কিন্তু এত লুকোছাপা কেন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি খবরে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। এরপর থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে ‘ডুব’ সিনেমাটি হুমায়ূন আহমেদের বায়োপিক।
‘ডুব’ সিনেমার ইংরেজি নাম ‘নো বেড অব রোজেস’। এতে ইরফান খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এর মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশের কোনো সিনেমায় অভিনয় করলেন ইরফান খান। এতে আরো অভিনয় করেছেন পার্ণো মিত্র, রোকেয়া প্রাচী, ব্রাত্য বসু ও নাদের চৌধুরী।