পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা আজ শুরু হচ্ছে। সন্ধ্যার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৩০ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন।
লাখ লাখ মুসল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হবে পবিত্র মিনা।বুধবার ফজরের পর পায়ে হেঁটে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন তারা। খবর আরব নিউজের।
দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি বলেন, চলতি বছর হজ করতে সারাবিশ্বের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ সৌদি আরবে এসেছেন। তাদের নিরাপত্তায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ইউনিট, ট্রাফিক পুলিশ এবং জরুরি সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে মিনা। মিনায় কেউ যাচ্ছেন গাড়িতে, কেউবা হেঁটে। হজের অংশ হিসেবে তারা মিনা, আরাফাতের ময়দান, মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। ৮ জিলহজ মিনায় সারা দিন এবং ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে গিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
এরপর আরাফাত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন তারা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন তারা। মিনায় বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ, সাঈ করবেন। তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
এদিকে হাজীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। তিনি হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এই নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে মক্কার পৌরসভার একটি টিম কোরবানীর পশু জবাই ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত রয়েছে।