প্রযুক্তি বাজারে জোর আওয়াজ, শিগগিরই নাকি প্রায় সাড়ে ১৮ ইঞ্চি স্ক্রিনের (হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন, প্রকৃতপক্ষে আকৃতিটি হওয়ার কথা ১৮ দশমিক ৪ ইঞ্চি!) এক ট্যাব আনতে যাচ্ছে স্যামসাং। এ খবরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু। পেল্লাই সাইজের এই ট্যাবকে দাঁড় করাতে ও বহন করতে রীতিমতো জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি স্ট্যান্ড ও হ্যান্ডেল। পৃথিবীতে এর আগে আর অন্য কোনো ট্যাবে এমন অভিনব ফিচার দেখা যায়নি। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেল এই নতুন খবর।
এই বিশাল ট্যাবের কথা সর্বপ্রথম জানা গিয়েছিল স্যামসাংয়ের ফ্যানব্লগ ‘স্যাম-মোবাইল’ থেকে। উন্মুক্ত হওয়ার আগেই স্যামসাংয়ের বিভিন্ন পণ্যের তথ্য ফাঁস করে দিয়ে এরই মধ্যে এই ব্লগ সারাবিশ্বের টেকপ্রেমীর ‘বিশ্বস্ততা’ অর্জন করেছে।
জানা গেছে, স্যামসাংয়ের এই বিশাল আকৃতির ট্যাবের নাম হতে পারে ‘গ্যালাক্সি ভিউ’ এবং এখন পর্যন্ত প্রকাশিত গুজব যদি সত্যি হয়, তাহলে ফুল এইচডি রেজল্যুশন স্ক্রিনের সঙ্গে ডিভাইসটিতে অন্যান্য স্পেসিফিকেশন থাকবে মধ্যম সারির।
‘গুজব’-এ পাওয়া তথ্যমতে, গ্যালাক্সি ভিউ চলবে অ্যানড্রয়েড ৫.১.১ অপারেটিং সিস্টেমে এবং এতে থাকবে ৬৪-বিট ৭৫৮০ অক্টা-কোর প্রসেসর, ২ জিবি র্যাম, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ (মাইক্রোএসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে) এবং একটি ৫,৭০০ মিলিঅ্যাম্প-ঘণ্টা ব্যাটারি। এ ছাড়া ট্যাবলেটটিতে থাকবে ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরার সঙ্গে ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। যদি গুজব সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এই স্পেসিফিকেশন নিয়ে ট্যাবটি পরিচিতি পেতে পারে ‘আইপ্যাড-কিলার’ হিসেবে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এখন ট্যাবলেটের পেছনের অংশের সঙ্গে থাকা স্ট্যান্ডটি। ফাঁস হওয়া ছবিগুলোতে স্ট্যান্ডটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ট্যাবের শরীর থেকে এটি আলাদা করা যাবে না। তবে স্ট্যান্ডটি দেখতে খুব খারাপ দেখাচ্ছে না। আর ধারণা করা হচ্ছে, মুভি দেখতে, গেম খেলতে কিংবা অন্যান্য কাজ করতে ট্যাবটি মনিটরের মতো ব্যবহার করা যাবে স্ট্যান্ডের জন্য।
বস্তুতপক্ষে স্ট্যান্ডটি কতটা কাজে আসবে, তা হয়তো দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ব্যতিক্রমী ডিজাইনের কারণে এটি অন্তত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, অ্যাপলকে নকল করার জন্য কোরিয়ান এই টেক জায়ান্টকে এবার আর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে না! আর যাঁরা ট্যাব হাতে খুব বেশি চলাফেরা করতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য হ্যান্ডেলটি ভালোই কাজে আসার কথা।
২০১৫ সালে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে, হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ট্যাব তৈরিতে গতানুগতিক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। তাই এখন পর্যন্ত উন্মুক্ত হওয়া বেশ কিছু ট্যাবে অভিনব সব বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। মাইক্রোসফট সারফেস, আইপ্যাড প্রো আর গুগল পিক্সেল সি-এর পর বিশালাকৃতির ‘গ্যালাক্সি ভিউ’ এবার কতটা সফলতা অর্জন করতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়!
সানবিডি/ঢাকা/এসএস