সোমবার এ আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী।
আসামিরা হচ্ছে লাকসাম সদরের পশ্চিমগাঁও গ্রামের বাবুল সাহা (৫৫), বাবুল সাহার স্ত্রী গীতা রাণী সাহা এবং তিন ছেলে মিঠুন সাহা (২৩), টুটুল সাহা (২৬) ও শিমুল সাহা (১৯)।
কুমিল্লা জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের তথ্য সেবা কেন্দ্রের সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১০ সালের ৬ নভেম্বর রাত ৮টার সময় বাদী ও তার ছোট ভাই জাকির হোসেন বাজার হতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওঁতপেতে থাকা আসামিরা দা, লাঠি, রামদা ও ডেগার দিয়ে জাকির হোসেনকে আঘাত করে।
পরে এলাকাবাসী জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে লাকসাম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে হাসপাতাল নেওয়ার পথে রক্তক্ষরণ হয়ে জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে পরদিন ৭ নভেম্বর জাকির হোসেনের বড় ভাই এরশাদ মিয়া খোকন বাদী হয়ে ৮ জনের নামে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. আবুল বাশার মামলার তদন্ত করে ৮জন আসামির মধ্যে তিনজনকে মামলার অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেন। অপর পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালের ৮ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু তাহের সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার ৬ বছর ২ মাস ২১দিন পর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাউদ্দিন।