সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানো এবং এসবের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় এর ওপর কর বাড়ানো। আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) আর্টিকেল ৬-এ তামাকের মূল্য বৃদ্ধি ও কর বৃদ্ধির নির্দেশনা আছে। কারণ, এতে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। উপরন্তু, তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বাড়ালে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনই তামাকের ব্যবহার ও এ কারণে মৃত্যুর হারও কমে আসবে। যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হেলাল আহমেদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম দামে তামাকজাত দ্রব্য পাওয়া যায়। তামাক পাতা, জর্দা, গুল, বিড়ি ও সিগারেট সহজলভ্য হওয়ায় বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের মধ্যে তামাক সেবন ও এর ফলে মানুষের রোগ-ব্যাধির হার বেড়ে চলেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আমাদের অর্থনীতিতে। তামাকজনিত মৃত্যুর হাত থেকে জনগণকে রক্ষা এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের খাতিরেই সর্বগ্রাসী তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির উদ্যোগ জরুরি।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাকের কারণে অসুস্থদের মাত্র ২৫ শতাংশ রোগীর সরকারি স্বাস্থসেবা, অকালমৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের কারণে বছরে সরকারের যে অর্থ ব্যয় হয়, তা তামাকজাত দ্রব্য থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের দ্বিগুণ। মানুষের জীবন অপেক্ষা কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। তাই উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যহানিকর তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বাড়ানো প্রয়োজন।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন- এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা, তামাকবিরোধী নারী জোটের (তাবিনাজ) সদস্য রোকেয়া বেগম, নবনিতা মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আতিকা আহসান, বাঁচতে শিখো নারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফিরোজা বেগম প্রমুখ।