ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান ও বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি একের পর এক রেকর্ড গড়ে তার জাত চিনিয়েছেন। তার প্রতীভায় মুগ্ন সাড়া বিশ্ব। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবেও ছিলেন বেশ সফল। তার নেতৃত্বে গত ২৩ টেস্টের মধ্যে ১৫টিতেই জয় পেয়েছে ভারত। ফলে বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা তার প্রশংসায় হয়েছেন পঞ্চমুখ।
তবে চলমান সিরিজে সেই প্রশংসা আর প্রাপ্তির নৌকা ডুবাচ্ছেন কোহলি নিজেই। সিরিজে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তেমন একটা ভালো কিছু করে দেখাতে পারছেন না তিনি। দুই টেস্টের একটিতেও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। এর উপর প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও অধিনায়কের সঙ্গে জড়িয়েছেন বিবাদে।
ম্যাচটি যে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার, এই দুই দল মুখোমুখি হলে লড়াই কি আর শুধু ব্যাট-বলে সীমাবদ্ধ থাকে! স্লেজিং থাকবে, চলবে কথার লড়াইও।
দ্বিতীয় টেস্টে ডেভিড ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর ২২তম ওভারে উইকেটে আসেন অজি অধিনায়ক স্মিথ। কোহলির সঙ্গে তার তর্কের শুরু সেই ওভার থেকেই। শুরুটা অবশ্য হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর ম্যাথু রেনশর মধ্যকার তর্কের সূত্র ধরে। নন-স্ট্রাইকে থাকা রেনশ পথ আগলেছিলেন অশ্বিনের। এ নিয়ে দুজনে জড়িয়ে পড়েন তর্কে। অশ্বিনের সঙ্গে তাতে যোগ দেন কোহলিও। পরে অবশ্য আম্পায়ার নাইজেল লংয়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টি বেশি দূর গড়াতে পারেনি। কিন্তু সেই তর্ক থামার পর নতুন করে শুরু হয় স্মিথ আর কোহলির ঝগড়া। স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি আর স্টিভ স্মিথ মুখোমুখি হচ্ছে। এটা চাপের কারণে। চাপে রয়েছে দুই দলই। ’
এদিকে সিরিজের আগে কোহলিকে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান বলে অভিহিত করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেট কিপার ইয়ান হিলি। হিলির ভাষ্য ছিল, ‘আমার দেখা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলিই সেরা। ’
চলমান সিরিজে কোহলির বিষয়ে অবশ্য মত বদলেছেন তিনি। ভারতীয় অধিনায়কের ওপর থেকে শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছেন হিলি।
মেলবোর্নের এক রেডিও স্টেশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হিলি বলেন, ‘আমি তার (কোহলি) প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছি। প্রতিপক্ষকে আরও বেশি শ্রদ্ধা করা উচিত তার। সে স্টিভের (স্মিথ) সঙ্গে যা করেছে, তা মেনে নেয়ার মতো নয়। ’
হিলি অবশ্য বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সে চাপে রয়েছে আর সতীর্থদের ওপরও চাপ প্রয়োগ করছে। অশ্বিনের চোখেমুখে সে চাপ স্পষ্ট হয়েছে। ’