ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে এই ঘটনা চলছে আজ প্রায় বছর খানেক ধরে। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ মুসলিম পরিবার যৌতুক ফিরিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি রুপি বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। জানা গেছে পোখারিটোলা গ্রামের বাসিন্দা হাজি মুমতাহ আনসারি প্রথম এ ব্যাপারে সচেতন করে শুরু করেন।
তিনি জানান, অনেক লোক আমার কাছে এসে দু:খ করত , মেয়ের বিয়ের যৌতুক যোগাড় করতে গিয়ে কী অসুবিধায় পড়েছেন তারা। ধারদেনার পাশাপাশি জমিও বিক্রি করতে হত। সেই সব ঘটনা শুনেই আমার মনে হয় যে অনেক হয়েছে, আর না! বন্ধ করতে হবে এই যৌতুক নেওয়া। তখনই মানুষকে বোঝাতে শুরু করি বিষয়টা।
গত বছর এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই যৌতুক-বিরোধী অভিযানে প্রথম এগিয়ে আসে ঐ এলাকার মুসলিমরা। এরপর থেকে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা একে স্বাগত জানিয়ে তারাও ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে।
বিহার ঝাড়খন্ডে যৌতুকপ্রথা, বাল্যবিবাহ সমস্যা নিয়ে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রেকথ্রু। সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহিনী ভট্টাচার্য বলছিলেন ওই পোখারিটোলা গ্রামের খবর তাদের কাছেও পৌঁছেছে।
তিনি জানান, যিনিই এই অভিযানটা শুরু থাকুন না কেন, দারুণ কাজ করেছেন। যদি ঠিকমতো চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে বহু মেয়ে এই পণের জন্য অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পাবে।
পোখারিটোলার এই যৌতুক বিরোধী অভিযান এতটাই সমর্থন পেয়েছে পালামৌ অঞ্চলে যে এখন আর মুসলিম পরিবারগুলিতে কেউ যৌতুক চাইতেই সাহস পাচ্ছেন না।
এমন কী যৌতুক নেওয়ার কথা কানে এলে কাজি সাহেবও সেই বিয়ে দিতে সরাসরি অস্বীকার করছেন বলে জানা গেছে।