আশরাফুল যখন বিয়ের পিড়িতে বসবেন তখন তার বয়স ৩১। জাতীয় দলের তার এক সময়ের সতীর্থদের চেয়ে একটু পরেই বিয়ে করছেন তিনি। তবে এই “দেরী”র মধ্যে ইতিবাচক কিছু দেখছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন,‘ হ্যাঁ, অন্যান্যদের তুলনায় একটু দেরীতেই বিয়ে করতে যাচ্ছি। তবে এটা আমার জন্য ভালোই হবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ আগেই বিয়ে করে ফেললে বাচ্চা কাচ্চা হয়ে যেত। তখন ক্রিকেটে ফেরার এনার্জি হয়তো সেভাবে থাকত না।’
বিয়ে এবং বৌভাতের অনুষ্ঠান খুব বড় পরিসরে করার চিন্তা করছেন না। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন,‘ আসলে এ ব্যাপারে এই মুহুর্তে কিছু বলতে চাই না। তবে অনুষ্ঠান খুব বড় আকারে করার চিন্তা নেই। তারপরেও দেখা যাক।’
আশরাফুলের হবু স্ত্রীর নাম অনিকা তাসলিমা অর্চি। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আংটি বদল হয় তাদের। অর্চি বর্তমানে পড়ালেখা করছে। অর্চির বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। তবে ঢাকার এলিফেন্ট রোডে বসবাস করেন তারা। দুই ভাই-বোনের মধ্যে অর্চি বড়।
নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন, তা কেমন লাগছে? আশরাফুল বলেন,‘ সত্যি কথা বলতে কি বেশ ভালো লাগছে। আমি দেশবাসির কাছে দোয়া চাই। যেন ভালোমত নতুন জীবন শুরু করতে পারি।’
২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোহাম্মদ আশরাফুলের অভিষেক। তিনি মোট ৬১ টেস্ট ও ১৭৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। টেস্টে তার সংগ্রহ ২৭৩৭ রান। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৮টি হাফ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, ওয়ানডেতে তার মোট রান ৩৪৬৮। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি ও ২০টি হাফ সেঞ্চুরি।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িক নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পরের বছরের জুনে তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করলে শাস্তির মেয়াদ দুই বছর কমিয়ে আনা হয়।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ