বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন -২০১৭ কার্যকর হলে আাগামী দুই বছরের মধ্যে বাল্য বিবাহের পরিমান অর্ধেকে নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি ।
বুধবার ৮ মার্চ ,আন্তর্জাতিক মহিলাও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন । সকলের সহযোগীতা কামনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন ক্রমেই ১৮ বছরের নিচের কোন মেয়েকে বিবাহ দেয়া যাবে না, যা বর্তমান আইনে সুষ্পষ্ঠভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কতিপয় মহল এ বিষয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। প্রতিটি আইনের কিছু ব্যতিক্রম থাকে, ব্যতিক্রম কখনই উদাহরন হতে পারে না। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন -২০১৭ এর বিশেষ বিধান মেয়েদের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষার্থে রাখা হয়েছে যা আদালত নিশ্চিত করবে এবং এ বিষয়ে শিঘ্রই বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে। বিধিমালা প্রণয়নের সময় আইন প্রণেতা এবং সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিদের মতামত নেয়া হবে। আজ আর্ন্তজাতিক নারী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত নারী সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রেবেকা মমিন এমপি, মহিলা বিষয়ক আধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেগম সাহিন আহমেদ চৌধুরী, ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন হান্টার (ঈযৎরংঃরহব ঐঁহঃবৎ) প্রমূখ।
সমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। তিনি বলেন, বিমানের পেরাস্যুটার থেকে শুরু করে পর্বতের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহন, ট্রেন চালক, বিচারপতি, সচিব সবক্ষেত্রেই নারীর পদচারণা মূখরিত হচ্ছে। নারীকে তার যথাযথ মর্যাদা দেয়ার জন্য সরকার নানামূখী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিকভাবে নারীকে ক্ষমতায়নের জন্য ২ কোটি নারীকে ১৮টি ট্রেডে বিনা খরচে প্রশিক্ষণ দেয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে এককালিন অর্থ প্রদান করে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের সহায়তায় প্রচলিত হেল্প লাইন ১০৯২১ কে সংক্ষিপ্ত করে নতুন হেল্প লাইন ১০৯ ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি’র বক্তব্যে নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত প্লানেট ফিফটি ফিফটি বাই টুয়েন্টি থার্টি এর অনেক আগেই বাংলাদেশে নারী পুরুষের সমতা অর্জিত হবে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৫জন নারীকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে শার্লী মেশৌপ্রু, শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হোসনে আরা, সফল জননী নারী হিসেবে মিসেস ফিরোজা বেগম, নির্যাতনের বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী এ ক্যাটাগরীতে মর্জিনা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী এ ক্যাটাগরীতে আরিফা ইয়াসমিন ময়ুরী-কে জয়িতা পদক প্রদান করা হয়। স্বীকৃতি হিসেব তাদেরকে দেয়া হয় একটি সার্টিফিকেট, একটি ক্রেস্ট এবং পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক।
সানবিডি/ঢাকা/মেহেদী/এসএস