প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ওয়ালটন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শুধু ডিজিটাল পদ্ধতি নয়; বিজ্ঞান ভিত্তিক স্টেট অফ দ্য আর্ট টেকনোলজীর প্রয়োগিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশেই তৈরি করছে উচ্চমানের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য। বর্হিবিশ্বে ইলেকট্রনিক্স পণ্য খাতে বাংলাদেশের পতাকা বাহক (ফ্ল্যাগ বিয়ারার) হবে ওয়ালটন।
গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা। এইচ টি ইমাম আরো বলেন, ওয়ালটন কারখানায় এসে আমার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে গর্ব করার মতো একটা কিছু ঘটেছে। ওয়ালটনে এসে বাংলাদেশে উচ্চমানের বিভিন্ন প্রকারের প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে আমি অভিভূত। তিনি আরো যোগ করেন, আজকে বাংলাদেশে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন খাতের যে বিকাশ ঘটেছে, তার পেছনে ব্যাপক অবদান রেখেছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে দেশে এই বিশাল শিল্প গড়ে উঠেছে। ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করে সবাই সন্তুষ্ট।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, মো. সিরাজুল ইসলাম ও আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদত আলম, সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর শাহজাদা সেলিম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমূখ।
প্রথমে তিনি ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। তারপর তিনি ঘুরে দেখেন ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন ওয়ালটনের সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব আর৬০০এ গ্যাসযুক্ত গ্রীণ রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ইউনিট। এরপর তিনি এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক সুইচ-সকেট, রিচার্জেবল ব্যাটারী, গ্যাস স্টোভ ও অন্যান্য হোম এ্যাপ্লায়েন্সেসের উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন।