দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত জুড়ে ভূমিকম্পের আঘাতে এ পর্যন্ত ৮৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। এটি প্রায় ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। এ ভূমিকম্পের পর ৪.৮ মাত্রার একটি পরাঘাতও অনুভূত হয় আফগানিস্তানে।
এদিকে, ইউএসজিএস (ইউএস জুওলোজিক্যাল সার্ভে) ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৫ বলে জানালেও পাকিস্তানের ভূতত্ত্ব জরিপ কেন্দ্র বলছে, ইসলামাবাদে ৮ দশমিক ১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আফগানিস্তান: ভূমিকম্পে দেশটিতে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পদদলনে ১২ স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের শেষ খবর অনুযায়ী দেশটিতে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তিন শতাধিক লোক। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ছাদ ও ভবন ধসের কারণে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, ভূমিকম্পে পেশোয়ার শহরে নিহত হয়েছে ১৮ জন। সোয়াতে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ১৩ জন নিহত হয়েছে চিত্রালে।
ভারত: ভারতের দিল্লি, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে আজ শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে সাড়ে সাত মাত্রার ওই ভূকম্পনটি অনুভূত হয়। ভারতের এনডিটিভির খবরে এ কথা জানানো হয়। তবে এর মাত্রা ও ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।
ভূমিকম্পের পর পর লোকজন ভবন ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পের সময় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লির মেট্রো সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর কারণে জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ হয়ে গেছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল নেপালে রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ওই ভূমিকম্পে প্রচুর ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাসহ ঘরবাড়ি, দালানকোঠার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মারা গিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
এছাড়াও ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভুটান, তিব্বতেও মারা যায় অনেক মানুষ। এর পর কয়েকমাস যাবত অনেকগুলো আফটার শক অনুভূত হয়।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ