রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে কার্যালয় সরাতে ছয় মাস সময় পেল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, ছয় মাসের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হবে।
কার্যালয় অন্যত্র সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে বিজিএমইএর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। বিজিএমইএর আবেদন নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেওয়া হয়।
আজ আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আইন না মেনে গড়ে তোলা বিজিএমইএর ১৬ তলা ভবন ভাঙতে রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) বিজিএমইএর করা আবেদন খারিজ হয়।
অফিস অন্যত্র স্থানান্তরে কদিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে বিজিএমইএকে আবেদন করতে বলেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। আবেদনের ওপর আজ শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ বিষয় নিয়ে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘বেগুনবাড়ি খাল’ ও ‘হাতিরঝিল’ জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচা আবেদনকারীর (বিজিএমইএ) কাছ থেকে আদায় করবে তারা। সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিজিএমইএর করা আবেদন খারিজ হওয়ার মধ্য দিয়ে ভবন ভাঙার বিষয়ে আইনি সব প্রক্রিয়া শেষ হয়।
সানবিডি/ঢাকা/মেহেদী/এসএস