‘ওয়ালটন কারখানা- এক কথায় চমৎকার। এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে ফ্রিজ, এসি, টিভির মতো অসংখ্য প্রযুক্তি পণ্য তৈরি হচ্ছে। এসব দেখে একজন ক্রেতা হিসেবেও আজ আমি গর্বিত।’ কথাগুলো বলেছেন ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুশফেকা ইকফাৎ। দেশীয় প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন খাতের ক্রমবর্ধমান বিকাশে ওয়ালটনের প্রচেষ্টাকে সামনে এগিয়ে নিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
আজ রবিবার (১২ই মার্চ) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স পরিদর্শণ করেন মুশফেকা ইকফাৎ। এসময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন ট্যারিফ কমিশনের সদস্য মো. আব্দুল কাইয়ূম, যগ্ম-প্রধান শেখ লিয়াকত আলী, উপ-প্রধান ও চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অভিনেতা মীর সাব্বির।
অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম, আশরাফুল আম্বিয়া, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, অপারেটিভ ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ প্রমূখ।
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ধারণা ছিল ওয়ালটন হয়ত বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রিজের পার্টস এনে এখানে এ্যাসেম্বিলিং করছে। কিন্তু, আজ ওয়ালটন কারখানায় এসে আমার সেই ধারণা পাল্টে গেছে। এখানে এসে দেখলাম ফ্রিজের ক্ষ্রদাতিক্ষুদ্র ছোট ছোট সব পার্টসই এখানে তৈরি হচ্ছে। ফ্রিজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে ওয়ালটন। এর ফলে একদিকে দেশের অর্থনীতি যেমন শক্তিশালী হচ্ছে, তেমনি ক্রেতারাও পাচ্ছেন টেকসই বিক্রয়োত্তর সেবা। তিনি আরো বলেন, দেশে কম্প্রেসার তৈরি করতে পারা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; বাংলাদেশের জন্যও এক বিরাট স্বার্থকতা।
অভিনেতা মীর সাব্বির বলেন, ওয়ালটনে এসে গর্বে বুক ভরে উঠেছে। আমি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু দেখেছি। ওয়ালটন এমন সুন্দর একটি জায়গা গড়ে তুলেছে- যেখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে অসংখ্য প্রযুক্তি পণ্য। আমি বিষ্ময়কর ধারণা নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।
বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য উৎপাদন খাতের ক্রমবিকাশ ও কারখানার কর্ম পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান। প্রথমে তিনি ওয়ালটনের উপর নির্মিত ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। ঘুরে দেখেন ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার।
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ওয়ালটনের পরিবেশ-বান্ধব আর৬০০এ গ্যাসযুক্ত গ্রীণ রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ইউনিট, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক সুইচ-সকেট, রিচার্জেবল ব্যাটারী, গ্যাস স্টোভ ও অন্যান্য হোম এ্যাপ্লায়েন্সেসের উৎপাদন ইউনিট।