কাজের জন্য সৌদি আরবে রয়েছেন বহু বাংলাদেশি প্রবাসী। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি বাংলাদেশিদের কাছে কর্মসংস্থানের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিদের সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের তিনটি ব্যাংককে দেশটিতে শাখা খোলার অনুমতি দিয়েছে। এই ব্যাংকগুলোর মূলধন, সম্পদ, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন, তারল্য এবং সংবেদনশীলতা মূল্যায়নের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশের এই ব্যাংকগুলোকে তাদের দেশে কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিয়েছে। সৌদি আরবে প্রচুর বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে। সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সহজ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দ্রুত ও সহজ পন্থায় দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
সৌদির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বছরের জুনে সৌদি আরবে সফরের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা খোলার অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সরকারের কাছে আহ্বান জানান। তার ওই অনুরোধের পরই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার।
যে তিনটি ব্যাংককে শাখা খোলার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সেগুলো হলো, জনতা ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামিক ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ব্যাংকগুলো সৌদি অ্যারাবিয়ান মনিটারি অথোরিটির কাছে তাদের আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর প্রয়োজনীয় নথিপত্র বিশ্লেষণ করে তাদের কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এই প্রথম বাংলাদেশি ব্যাংক সরাসরি সৌদি আরবে বসবাসকারী প্রায় ২৮ লাখ প্রবাসীকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছরের অক্টোবরেই সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে অনুমোদন দেয়া হয়। আর গত বছরের নভেম্বরে জনতা ব্যাংককে অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা এসব ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে এবং ব্যবসায়ের জন্য মূলধনও নিতে পারবে।
সৌদি আরবের মক্কা, জেদ্দাহ এবং রিয়াদেই অধিকাংশ বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক এই তিনটি শহরকেই ব্যাংকগুলোর শাখা খোলার জন্য নির্বাচন করেছে। বর্তমানে দুবাইতে জনতা ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে।