দেশের উন্নয়নের স্বার্থে শিল্পকারখানার মালিক ও শ্রমিক উভয়কেই সমন্বিতভাবে কাজ করার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। আবার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনে সরকারেরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতও জোর দিতে হবে।
গতকাল রোববার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেট আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই অভিমত উঠে আসে। নগরের একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলনকক্ষে ‘শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, দেশের উন্নয়নে মূল চালিকাশক্তি হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। বাংলাদেশকেও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, শ্রমিকদের অবস্থার উন্নয়ন ও তাঁদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার শ্রম আইন বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকেরও শ্রমিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ সিলেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড), ইলেকট্রিক সিটি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি পল্লি বা আইসিটি ভিলেজ প্রতিষ্ঠায় সরকারি উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলছে। সেই লক্ষ্যের সঙ্গে সংযোগ রেখে সিলেটের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এগোতে হবে।
সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেটের উপমহাপরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক মো. মনজুর কাদের খান, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ। এতে সিলেট চেম্বারের পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ ও বশিরুল হক, ব্রিক ফিল্ড মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, কেএফসির প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার প্রতিনিধি তানভীর আহমদ, হোটেল মালিক সমিতির সেক্রেটারি নূর আহমদ, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ দিদার বক্তব্য দেন।