আজ সোমবার ট্যানারিগুলোতে অন্যান্য দিনের মতোই উৎপাদনকাজ চলেছে। মালিকেরা ধারণা করছেন, এ সপ্তাহ তাঁরা উৎপাদন চালানোর সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে ক্রয়াদেশ অনুযায়ী চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে চান তাঁরা। তবে সেটা সম্ভব হবে না বলেই আশঙ্কা তাঁদের।
হাজারীবাগের বড় ট্যানারিগুলোর একটি ঢাকা হাইড অ্যান্ড স্কিন। এর পরিচালক এ জে খোকন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ট্যানারি বন্ধের আদেশ শোনার পরে তাঁদের ইতালির ক্রেতা দ্রুত কার্যাদেশ অনুযায়ী চামড়া প্রস্তুত করে পাঠাতে বলেছে। তবে ক্রয়াদেশ অনুযায়ী এত দ্রুত চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
খোকন ভূঁইয়া বলেন, ‘পণ্য না পাঠাতে পারলে ক্রেতারা ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন। এমন অবস্থায় শুধু আমরা নয়, বেশির ভাগ মালিকেরাই বিপদে পড়েছেন।’ তিনি বলেন, সাভারে তাঁদের ট্যানারির চামড়া প্রক্রিয়াকরণের প্রথম ধাপ ওয়েট ব্লু অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুই ধাপ (ক্রাস্ট ও ফিনিশড) সরাতে মাস দু-এক সময় লাগবে। তাঁরা চেয়েছিলেন সাভারে উৎপাদন শুরু করে হাজারীবাগে বন্ধ করতে। যাতে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহের নিশ্চয়তা থাকে।
গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ট্যানারি মালিকদের হাজারীবাগ ছাড়ার সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর আগামী সপ্তাহে ট্যানারির সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ট্যানারি মালিকেরা সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে যাতে দ্রুত উৎপাদন শুরু করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন। গতকাল রোববার তাঁরা পেট্রোবাংলার সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আজ তাঁদের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির সঙ্গে একটি বৈঠকের কথা রয়েছে।
হাজারীবাগের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কারখানাগুলোতে কাজ চলছে। তবে পরিস্থিতি থমথমে। শ্রমিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
সানবিডি/ঢাকা//মেহেদী/এসএস