দেশে এখন রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে
প্রকাশ: ২০১৫-০৯-২২ ১১:১৯:১৮
সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় পৌনে দুই মাস উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তিনি। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদেও ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমি অসুস্থ। সিঙ্গাপুরের পরে আমি কর্ণেল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছি। আমার চিকিৎসা এখন চলছে। আবার ৬ মাস পরে যেতে বলা হয়েছে। এখন কিছুটা ভালো বোধ করছি। আশা করি সুস্থ হয়ে আবার দেশের জন্য কাজ করতে পারবো।’
দেশের চলমান রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন,‘দেশে গণতন্ত্রের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। এখন দেশে একটা রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। এ থেকে উত্তরণে একমাত্র পথ হচ্ছে গণতান্ত্রিক উপায়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি জনগনকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রাম করছে এবং করবে।’
দল পূর্ণগঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আশা করি পূর্ণগঠন প্রক্রিয়া সফল হবে। আমাদের নেতারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তারা সাফল্যের সঙ্গে সফল করতে সক্ষম হবেন।রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে কবে সস্পৃক্ত হবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আছি।’
ফখরুলকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আবদুল লতিফ জনি, ফরহাদ হোসেন আজাদ, শায়রুল কবির খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দন থেকে তার উত্তরার বাসায় যান ফখরুল।
মস্তিস্কের ক্যারোটিড আর্টারিতে দুইটি ব্লকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রায় ছয় মাস কারাগারে থাকায় গত ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয়। মুক্তি লাভের পর ২৭ জুলাই চিকিৎসার জন্য প্রথমে সিঙ্গাপুর এবং গত ১১ আগস্ট নিউইয়র্ক যান তিনি।
ফখরুলের মস্তিস্কের ক্যারোটিভ আর্টারিতে দুটি প্রায় শতভাগ ব্লক হয়েছে। তবে রক্ত সঞ্চালন মোটামুটি অব্যাহত থাকায় এবং ধকল সামলানোর মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় ফখরুলের অস্ত্রোপচার না করার পক্ষে মত দেন চিকিৎসকরা। এই পরামর্শ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিউইয়র্ক থেকে গত শনিবার সিঙ্গাপুরে আসেন। সেখানে চিকিৎসকদের দেখিয়ে দেশে ফিরলেন।