পৃথিবীর দীর্ঘতম শাড়ির দৈর্ঘ্য শুনলে একটু অবাকই হবেন। হয়ত ভাবতে পারেন এত লম্বা শাড়ি মানুষ কীভাবে পরে। দৈর্ঘ্য কত শুনবেন? ২ হাজার ১০৬ ফুট ১০ ইঞ্চি বা ৬৪২.৩ মিটার। আর এটি আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেই।
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়কালের সামাজিক সেন্টিমেন্ট, অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে শাড়িতে। আর এই শাড়ি ভারতীয় সভ্যতা আর সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে সেই আদি থেকেই। এদেশে বিভিন্ন সময়ে অস্বাভাবিক দৈর্ঘ্যের শাড়ি বোনা হয়েছে। বহু সময় এই শাড়িগুলি ছিল ভগবানের ভেট। আর বাণিজ্যিক দিক থেকে বলতে গেলে বিখ্যাত শাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলই এইসব অস্বাভাবিক দীর্ঘ শাড়ি।
এই মুহূর্তে গিনেস ওয়র্ল্ড রেকর্ডকে যদি প্রামাণ্য ধরা যায় তবে ভারতের দীর্ঘতম শাড়িটি রয়েছে এক ধর্মীয় ট্রাস্টের কাছে। চেন্নাইয়ের শ্রী পার্শ্ব পদ্মাবতী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী বসন্ত গুরুদেব শক্তিপীটধীপথ-এর কাছে রয়েছে এই শাড়ি যা আসলে উৎসর্গ করা হয়েছিল জৈন দেবী পদ্মাবতীকে।
চেন্নাইয়ের কুমারণ সিল্ক এই শাড়িটি তৈরি করেছিল ১৮ দিনে। ৩ জন এক্সপার্ট একটি মেশিনেই বুনেছিলেন শাড়িটি এবং দাবি করা হয় যে ১৮ দিন টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেই শাড়িটি বোনা হয়।
এর আগে দীর্ঘতম শাড়ির গিনেস রেকর্ডটি ছিল কোচির ‘সিমত্তি’ নামের একটি দোকানের। সিমত্তির শাড়িটি ১ হাজার ৫৮৫ ফুট দীর্ঘ এবং চেন্নাইয়ের পঠি নামক একটি সংস্থার। এই শাড়িটি টানা ২ মাস ১৯ দিন ধরে বোনা হয়েছিল। একজন ডিজাইনারের তত্ত্বাবধানে বুনেছিলেন ১২০ জন তাঁতী। আবার সিমত্তি যে শাড়িটির রেকর্ড ভেঙেছিল তার দৈর্ঘ্য ছিল ১ হাজার ২৭৬ ফুট।
এছাড়াও দক্ষিণ ভারতের একাধিক শাড়ি সংস্থার কয়েকশো ফুট দীর্ঘ শাড়ি রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরএমকেভি সিল্ক সংস্থার ৭০০ ফুট শাড়ি যেখানে পল্লব ভাস্কর্যের বিখ্যাত নিদর্শন, ‘অর্জুনের প্রায়শ্চিত্ত’ নামের বাস রিলিফের ইমেজগুলি বুননের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।