বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ ব্রায়ান কক্স কিছু দিন আগেই জানিয়েছিলেন, ভূতের কোন অস্তিত্ব থাকতে পারে না। থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র সার্ন-এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার-এ ধরা পড়ত। কিন্তু সম্প্রতি এক ফোটোগ্রাফ নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে নাসা। বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার গবেষণাগারে তোলা একটি ছবিতে রীতিমতো ধরা পড়েছে ছায়া-ছায়া সব অশরীরীদের তাণ্ডব। কী ব্যাখ্যা হতে পারে এই ছবির, এই প্রশ্নে জর্জরিত নাসা-র বিজ্ঞানীরা।
নাসা-র প্রখ্যাত মহাকাশ টেলিস্কোপ হাব্ল-এর উত্তরসূরী জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি যে গবেষণাকক্ষে রাখা রয়েছে, সেখানে টেলিস্কোপটিকে ঘিরে বেশ কিছু আধিভৌতিক লোকজন হল্লা করছে, এমন একটি ছবি ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে। প্রসঙ্গত, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি শুধু দূরত্ব নয়, তা মহাজগৎকে মহাকালের পরিসরেও দেখতে সমর্থ। এক অর্থ এটি একটি ‘টাইম মেশিন’। নেট-রসিকদের মতে, সুদূর অতীত থেকে বিস্তর প্রেতাত্মা এসে দেখে যাচ্ছে এই সময়যান। জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন প্যারানর্মালবিদদের উৎসাহে পানি ঢেলে দিয়েছে নাসা নিজেই। নাসা-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছবিতে যে ‘ভুত’-দের দেখা যাচ্ছে, তাঁরা আসলে নাসা-রই ইন্সপেক্টর। এবং তাঁরা দারুণ ভাবে জীবিত। যে ক্যামেরায় এই ছবিটি তোলা হয়েছিল, সেটির শাটার অনেকক্ষণ খোলা পড়েছিল। তাতে অতিরিক্ত আলো ঢুকে পড়ে এই ভূতুড়ে ছবি তৈরি হয়েছে। এতে অপেক্ষাকৃত অনুজ্জ্বল বিষয়গুলিকে অতিমাত্রায় উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। ফলে তৈরি হচ্ছে ভৌতিক অবয়ব।