চলতি বছর হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন ২৮ মার্চ শুরু হয়ে ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলবে। বুধবার সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধনের জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের মধ্যে হজ গাইড ২ হাজার ৬০৪ জন, হজ ব্যবস্থাপনার জন্য এজেন্সির ৮৫০ জন। বাকি ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৪৪টি খালি কোটা পূরণের জন্য প্রাক-নিবন্ধনের সিরিয়াল ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ পর্যন্ত চলতি বছরের নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি তাদের ব্যাংক হিসাবে নিবন্ধন ভাউচারের মাধ্যমে বিমান ভাড়া বাবদ এক লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা জমা দেবে। হজ এজেন্সি টিকিটের টাকা অন্য কোনো কাজে উত্তোলন করতে পারবে না।
এতে আরও বলা হয়, নিবন্ধন কার্যক্রমে নির্বাচিত ব্যাংকগুলো সরকার নির্ধারিত অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত করে হজযাত্রীদের নিবন্ধন সম্পন্ন করবে। যারা নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হবেন তাদের ক্ষেত্রে কোটা পূরণের জন্য জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুসরণ করা হবে। সরকারি নির্ধারিত সিরিয়ালের বাইরে কারো কাছ থেকে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।
সিরিয়ালের সীমাবদ্ধতার (২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ পর্যন্ত) কারণে সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো হজ এজেন্সির ন্যূনতম ১৫০ জনের হজযাত্রীর কোটা পূরণ না হয় তবে তারা হজনীতি অনুযায়ী লিড এজেন্সি নির্ধারণ করবে। এজন্য হজযাত্রী স্থানান্তরের কাজ ২৮ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে। স্থানান্তরিত হজযাত্রীদের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব লিড এজেন্সি গ্রহণ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের নির্বাচিত প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখায় জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের হজ প্যাকেজ-১ এর সরকারি হজযাত্রীদের বাকি ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৮ টাকা এবং হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা জমা দিতে হবে।
গত ৩০ জানুয়ারি ‘হজ প্যাকেজ- ১৪৩৮ হিজরি/২০১৭ খ্রিস্টাব্দ’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এবার সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ এবং প্যাকেজ-২ এ ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা খরচ করতে হবে। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন।