বিরাট কোহলিকে আগেই ‘লক্ষ্যবস্তু’ বানিয়েছে অস্ট্রেলীয়রা। এখন চলছে ‘টার্গেট প্র্যাকটিস’। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা তো আছেনই। সেই লক্ষ্যভেদ অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও। ভারতের অধিনায়ককে এবার আক্রমণ করে বসলেন এমন একজন, যার ঠিক এই কাজে থাকার কথা নয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড নাকি নিশ্চিত নন, ‘দুঃখ’ প্রকাশ করার শিক্ষাটা কোহলি পেয়েছেন কিনা!
অস্ট্রেলিয়ার একটি রেডিও চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাদারল্যান্ড কোহলির বিনয়বোধ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘দেখুন আমি ঠিক নিশ্চিত নই, কোহলি “স্যরি” শব্দটি বলতে জানে কিনা।
বেঙ্গালুরু টেস্টে স্মিথের ‘ডিআরএসগেট’ থেকেই দুই পক্ষের ঝগড়াটা চলছে। বেঙ্গালুরু টেস্টের শেষ দিন একটি রিভিউ নিতে গিয়ে অস্ট্রেলীয় ড্রেসিং রুমের দিকে তাকিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ব্যাপারটি নিয়ে আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কোহলি। স্মিথের বিপক্ষে পরে প্রতারণার অভিযোগও এনেছিলেন ভারতের অধিনায়ক। সে সময় থেকেই কোহলিকে লক্ষ্যে পরিণত করে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম। সাদারল্যান্ড সে সময়ও তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার সব সাবেকেরাই যে কোহলির বিরুদ্ধে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। স্মিথের পূর্বসূরি মাইকেল ক্লার্ক দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় দলপতির পাশে। ক্লার্ক খেপেছেন কোহলিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করায়, ‘কোহলিকে ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এর চেয়ে বাজে ব্যাপার আর কী হতে পারে!
ক্লার্ক মনে করেন ডিআরএস নিয়ে কোহলি যা করেছে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্মিথও একই জিনিস করতেন। কোহলি দারুণ খেলোয়াড়। সে যেভাবে খেলে, তাতে আমি ওর মধ্যে একজন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের ছায়া দেখতে পাই।’ সূত্র: এনডিটিভি, নিউজ ডটকম.এইউ।