গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমারকান্দা গ্রামে এক কিশোরীর কাণ্ড হতবাক করেছে সবাইকে। শনিবার ৪৫-৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি তালগাছের মাথায় চড়ে বসে কিশোরী হাবিবা খাতুন। এসময় তাকে নামাতে গেলে সে চিৎকার করে বলতে থাকে ‘তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর। তাই আামি এখানেই থাকবো। আমি নামবো না।’
এ ঘটনাকে ওই কিশোরীর উপর জিনের আসর বলে মনে করছে এলাকাবাসী। তাদের ধারণা জিনের টানেই সে এই বিশাল তালগাছে উঠে গেছে। আবার কেউ কেউ হাবিবার উপর কোনো অশরীরি আত্মা ভর করেছে বলেও মন্তব্য করছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে ওই গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণদিয়া বাকু মৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা খাতুন আকস্মিকভাবে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান।
এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন বাড়ির পাশের ৪৫-৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি তালগাছের মাথায় হাবিবা খাতুনকে দেখতে পান। স্থানীয় লোকজন তাকে তালগাছ থেকে তাকে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সে কারো কোনো অনুরোধে কর্ণপাত করেনি।
উপায়ান্তর না পেয়ে কয়েকজন যুবক তালগাছে উঠে হাবিবাকে নামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এতেও তারা ব্যর্থ হন। আবশেষে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় উচু তালগাছের মাথা থেকে নামানো হয় স্কুলছাত্রী হাবিবা খাতুনকে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে নামিয়ে আনা হয়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সাইফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তালগাছের মাথায় থাকা অবস্থায় হাবিবা কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।