‘সংস্কারি’ হিসেবে অনেক সময়ই শিল্পীদের রোষের মুখে পড়তে হয় সেন্সর বোর্ডকে। তা সত্ত্বেও কঠোর নিয়মনীতিতে কোনওরকম হালকা দেন না বোর্ড কর্তারা। আর তারই জেরে এবার বিপাকে বোর্ড। এক নাবালিকার দাবি করেছেন, তিনি সিনেমা দেখেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক সেন্সর কর্তাকে নোটিশ পাঠাল আদালত।
তামিল সিনেমা ‘কলাবনী’ মুক্তি পেয়েছিল সেই ২০১০ সালে। সে ছবিতে দেখা গিয়েছিল ছবির নায়ক পালিয়েছে নায়িকাকে নিয়ে। পরে অবশ্য তারা বিয়ে করে। ভারতীয় ছবিতে প্রায়ই এ ধরনের দৃশ্য দেখা যায়। ফলে এ ছবির গল্পেও আপত্তিকর কিছু পায়নি সেন্সর বোর্ড। ছবিটিকে ‘U’ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু হিতে বিপরীত হল। নাবালিকার দাবি, ওই ছবি দেখেই সে তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। প্রায় মাস দশেক নিখোঁজ ছিল সে। এই ঘটনার জেরেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল তার পরিবার।
সম্প্রতি বছর তেরোর মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যায়। আদালতে তোলা হলে নাবালিকা দাবি করে, সিনেমা দেখেই এ সব কাজ করতে তারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। এ সময় তার গর্ভবতী হওয়ার পিছনেও সিনেমাটিকে দায়ী করে সে।
এরপরই চেন্নাইয়ের আদালতে ডাক পড়ে এক সেন্সর কর্মকর্তার। জানা গেছে, নাবালিকার এই দাবিতে বেশ অসন্তুষ্ট সেন্সর বোর্ড। এক কর্মকর্তার জানালেন, বোর্ড কোনও বিষয়ে আপত্তি জানালেও তা নিয়ে সমালোচনা হয়। আবার না জানালেও এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।