মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান, শ্মশানসহ যে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা জনস্বার্থে সরকার যাতে সরাতে পারে, সে জন্য আইন হচ্ছে। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭’-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ বিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “সাধারণ বিধান অনুসারে আগের মতো ধর্মীয় উপাসনালয় অধিগ্রহণ করা যাবে না। তবে সরকার জনস্বার্থে একান্ত অপরিহার্য মনে করলে যেন তা অধিগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য প্রস্তাবিত আইনে এ বিধান যুক্ত করতে বলা হয়েছে।”
এ ক্ষেত্রে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, যদি কোনো একটি মসজিদ না সরালে সড়কে চলাচল ও কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করা হয়, তাহলে সেই মসজিদ সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যাবে।”
প্রস্তাবিত আইনে যেকোনো স্থাবর সম্পত্তি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অর্থাৎ সরকারি পর্যায়ে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণে জমির বাজার মূল্য এক কোটি টাকা হলে, ২০০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ যুক্ত করে ক্ষতিগ্রস্তকে তিন কোটি টাকা দিতে হবে। আর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হবে ৩০০ শতাংশ।