ইসলামি ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আলেমদের প্রবেশে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আলেমরা লাইন ধরে প্রবেশ করছেন।
সমাবেশে প্রবেশকারীদের দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি করে ঢুকতে দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ৫টি গেট দিয়ে প্রবেশ শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে। সমাবেশের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৩টায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমাবেশের উদ্বোধন করবেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সমাবেশে আসা আলেমরা তীব্র রোদ উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ৫টি গেট দিয়ে এক এক করে প্রবেশ শুরু করে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে বেশি ভিড় হওয়ায় আলেমরা আশপাশের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।
সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, এবারের সমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫টি গেট দিয়ে সর্বমোট এক লাখ ৬ হাজার ৭৭৩ জন নিবন্ধিত আলেম প্রবেশ করবেন। এর মধ্যে চারুকলা গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ৩১ হাজার ২৬ জন আলেম। এর মধ্যে দিনাজপুরের দুই হাজার ৫ জন, পঞ্চগড়ের এক হাজার ৬৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের এক হাজার ৯২ জন, রংপুরের এক হাজার ৮৬ জন, কুড়িগ্রামের এক হাজার ছয়শ ৬৮ জন, নীলফামারীর এক হাজার চারশ ৩০ জন, লালমনিরহাটের এক হাজার একশ ৯৭ জন, বগুড়ার দুই হাজার একশ ৬ জন, জয়পুরহাটের ৯০৩ জন, গাইবান্ধার ১৮০৪ জন, ময়মনসিংহের ৩৩৯৭ জন, নেত্রকোনার ১৫৪৭ জন, কিশোরগঞ্জের ২০৫৪ জন, জামালপুরের ২০১৪ জন, শেরপুরের ১৪২০ জন, টাঙ্গাইলের ২২২৯ জন, মানিকগঞ্জের ১২৯৬ জন ও গাজীপুরের ১৭০৫ জন আলেম প্রবেশ করবেন।
টিএসসি গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ২২ হাজার ১৫৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৮৮৪ জন, নাটোরের ১২৯৩ জন, চাপাইনবাবগঞ্জের ১২৩১ জন, নওগাঁর ১৭৮২ জন, পাবনার, ১৭৯৩ জন, সিরাজগঞ্জের ২০৬০ জন, কুষ্টিয়ার ১৩০৭ জন, চুয়াডাঙ্গার ৯০৫ জন, মেহেরপুরের ৬০৪ জন, খুলনার ১৮১২ জন, সাতক্ষীরার ১৫২২ জন, বাগেরহাটের ১২২৬ জন, যশোরের ১৮৩৪ জন, নড়াইলের ৬৩৬ জন, ঝিনাইদহের ১২৭১ জন ও মাগুরার ৯৪৯ জন আলেম প্রবেশ করবেন।
বাংলা একাডেমি গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ৩৪ হাজার ৫২১ জন আলেম। এর মধ্যে ঢাকার ৬৪৩৫ জন, নারায়ণগঞ্জের ১৬৩৩ জন, মুন্সিগঞ্জের ১২৬২ জন, নরসিংদীর ১৩৯৪ জন, ফরিদপুরের ১৬৬২ জন, রাজবাড়ীর ৮৮২ জন, মাদারীপুরের ১১২৪ জন, শরীয়তপুরের ১১৩৭ জন, গোপালগঞ্জের ১৪৭২ জন, চট্টগ্রামের ৪৭৫০ জন, কক্সবাজারের ১৭৯৯ জন, বান্দবনের ৪৬৩ জন, নাঙ্গামাটির ৯৫৪ জন, খাগড়াছড়ির ৮৬৪ জন, বরিশালের ১৮৮৯ জন, ঝালকাঠির ৮৪৭ জন, ভোলার ১৭২৫ জন, পটুয়াখালির ১৬৫১ জন, পিরোজপুরের ১১৫৯ জন ও বরগুনার ১০১৯ জন আলেম প্রবেশ করবেন।
মন্দিরগেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ১৯ হাজার ৭৩ জন আলেম। এর মধ্যে কুমিল্লার ৩৫৫৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার ২১০১ জন, চাঁদপুরের ১৭৩৪ জন, সিলেটের ২৬৩৮ জন, হবিগঞ্জের ১৬১৯ জন, মৌলভীবাজারের ১৪৮৯ জন, সুনামগঞ্জের ১৬৮৯ জন, নোয়াখালীর ১৮৯৩ জন, ফেনীর ১২৪৫ জন ও লক্ষ্মীপুরের ১১০২ জন আলেম প্রবেশ করবেন।
এছাড়া তিননেতার মাজার গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রলয়সহ অন্যান্য অফিসের দাওয়াত কার্ডপ্রাপ্ত অতিথিরা।