চলচ্চিত্র ছাড়ছেন অনন্ত জলিল!

প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৮ ১৬:৪৭:২৭


Anantaসব সম্ভবের নায়ক বলেই পরিচিত ঢাকাই ছবির সুপারস্টার অনন্ত জলিল। মূলত ব্যবসায়ী তিনি। ২০১০ সালে ধুমকেতুর মতোই আবির্ভূত হন ঢাকাই ছবিতে। তার প্রযোজনায় নির্মিত ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ ছবিটি দিয়ে তিনি নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে হৈ চৈ ফৈলে দেন। ভেঙে চুড়মার করে দেন শাকিব খানের এক নায়কতন্ত্রের সাম্রাজ্য।

প্রথম দিকে অভিনয়ের দক্ষতার অভাব থাকলেও চলচ্চিত্রের প্রতি মুগ্ধতা ও একনিষ্ঠতা দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছিলেন দেশের সব শ্রেণির দর্শকের মন। সমাজের এলিট শ্রেণির মানুষরাও যে হাল আমলের ঢাকাই ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যান, সেটা অনন্তের কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম ছবি থেকেই বর্ষার সঙ্গে জুটি বেঁধে শাকিব-অপু জুটির বাইরে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন অনন্ত-বর্ষা। একপর্যায়ে ভালোবাসায় জড়িয়ে তারা বিয়ে করেও আলোচিত হন।

শুরু থেকেই বিগ বাজেটে ব্যতিক্রমী গল্প, চমৎকার নির্মাণশৈলী দিয়ে তিনি বদলে দিয়েছিলেন ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির চেহারা। তার হাত ধরেই এক লাফে বেড়ে গিয়েছিল ছবি নির্মাণের বাজেট। তার হাত ধরেই বদলেছে ছবির প্রযোজনার চালচিত্রও। সর্বশেষ ‘মোস্ট ওয়েলকাম-২’সহ মোট ছয়টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের প্রযোজনা ও অভিনয়ে। তবে আটকে আছে তার ঘোষণা দেয়া নতুন ছবি ‘দ্য স্পাই’ ও ‘সৈনিক’ ছবি দুটোর কাজ। প্রায় দুই বছর শেষ হতে চললো কোনো আপডেট নেই ছবিগুলোর। এরমধ্যেই ফিল্মপাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে, চলচ্চিত্র ছাড়ছেন অনন্ত জলিল!

তার দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতি ‘গুঞ্জন’ সত্যিতেই রূপ নিচ্ছে বলে অনেকের মন্তব্য। ব্যবসায়িক ব্যস্ততা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে হয়তো এমন সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকবেন এই অভিনেতা। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, চিত্রনায়িকা বর্ষা নতুন ছবি নির্মাণে আগ্রহী হলেও অনন্ত জলিলের ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে সেটা হয়ে উঠছে না। নতুন কোনো ছবি নির্মাণের প্রতিও নাকি তিনি আগ্রহী নন। এ বিষয়ে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মিলেনি। দীর্ঘদিন তার মিডিয়া ম্যানেজারও যোগাযোগের বাইরে।

চলচ্চিত্রে অপার সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন অনন্ত জলিল। ‘দ্য স্পাই’ ছবির জন্য নতুন মুখের সন্ধানে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ একটি শিল্পী খোঁজার প্রতিযোগিতাও আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেটাও প্রায় এক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু আদতে কোনো ফল পেল না ইন্ডাস্ট্রি। তার মতো চলচ্চিত্র নিবেদিত প্রযোজক ও নায়কের হঠাৎ প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়াটাকে সার্বিকভাবেই ঢাকাই ছবির জন্য একটা বড় ধাক্কা বলে মানছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।

বেহাল দশার এই ইন্ডাস্ট্রিতে তার বিনিয়োগ ও সম্পৃক্ততা খুব প্রয়োজন বলেই মনে করেন চলচ্চিত্র বোদ্ধারা। সিনেপ্রেমীদের ধারণা, সহসাই গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে আবারও ফিরে আসবেন তিনি। প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি অনন্ত জলিল কী ভেবে দেখবেন?